নিজস্ব প্রতিবেদন- হাথরসের পর এবার ফতেপুর। উত্তরপ্রদেশে একের পর এক গণধর্ষণ ও খুনের কাণ্ড গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। হাথরসে ১৯ বছর বয়সী মেয়ের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। এরই মধ্যে সেই উত্তর প্রদেশ থেকেই একের পর এক গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসছে। কখনো বুলন্দশহর। কখনো বলরামপুর। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা বলে যেন কোনও ব্যাপারই নেই। যে কেউ যে কোনো পরিস্থিতিতে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে সেখানে ছিনিমিনি খেলতে পারে। আর বারবার অভিযুক্তদের বাঁচাতে পুলিস প্রশাসন ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফতেপুরে কুড়ি বছর বয়সী এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রামেরই একটি স্কুলে পড়াতেন ওই শিক্ষিকা। সন্ধ্যের দিকে টয়লেট যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরোন। তার পর থেকেই নিখোঁজ তিনি। বাড়ির লোক ও আত্মীয় স্বজন শিক্ষিকার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। গভীর রাতে বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেতে তাঁর নিথর দেহ পাওয়া যায়। প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন সেই শিক্ষিকা। এমনকী সারা শরীরে একাধিক জায়গায় ছিল রক্তের দাগও ছিল। এরপর গ্রামের লোকজন তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ইতিমধ্যে ফতেপুরের জেলাশাসক ও এসপি রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। মৃতার পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।


আরও পড়ুন-  "স্ত্রী-সন্তানের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে কিডনি বিক্রি করতে চাই", পোস্ট বাবার


এদিন সকালে সেই শিক্ষিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর গ্রামের নিয়ে আসার উদ্যোগ নেন পরিবারের লোকজন। তখনই পুলিস তাঁদের বাধা দেয়। এরপরই ব্যাপক গণ্ডগোল বাঁধে। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন জানান, তাঁদের মেয়েকে নিশ্চিতভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাশের গ্রামের এক যুবকের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সেই শিক্ষিকার পরিবারের লোকজন। অভিযোগ ও সন্দেহের বশে সেই যুবককে আটক করেছে পুলিস। জানা যাচ্ছে, এবারও নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত দুজন আলাদা সম্প্রদায়ের। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, সেই যুবককে জেরা করা হচ্ছে। তবে পরিবার সূত্রে বলা হচ্ছে, এক নয়, একাধিক যুবক জড়িত এই কাণ্ডের সঙ্গে। এমনকী অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিস। এমন অভিযোগও তুলেছেন মেয়েটির পরিবারের লোকজন।