Yogi Adityanath: `ধর্মের রাজনীতি-যড়যন্ত্রের পাল্টা জবাব দিয়েছে মানুষ`: আদিত্যনাথ
বুথ ফেরত সমীক্ষায় উতরাখণ্ড ও গোয়া নিয়ে একটা নড়বড়ে অবস্থা ছিল বিজেপির। ফল প্রকাশের পর সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়ে গিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন:মঠ থেকে রাজনীতিতে। তার পর সোজা উত্তরপ্রদেশের তখত-তাউসে যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে এই প্রথমবার কোনও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ৫ বছরের মেয়াদ শেষ করার পর ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। পাশাপাশি, যোগী আদিত্যনাথের আরও বড় সাফল্য হল তাঁর আমলে এবার দল ভোট পেয়েছে চল্লিশ শতাংশের উপরে। ১৯৮৯ সালের পর উত্তরপ্রদেশে আর কোনও দল এত ভোট আগে পায়নি।
বৃহস্পতিবার লখনউয়ে বিজেপির কার্যালয়ে জনসমুদ্র। অকাল হোলি সমর্থকদের মধ্যে। জনসমুদ্রে ভাসতে ভাসতে আদিত্যনাথ বললেন, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। মানুষ জাতপাত, ধর্মের রাজনীতিকে পরাজিত করেছে। উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাবরই মোদজির পরামর্শ পেয়েছি। বিজেপির এই জয়ের পেছনে রয়েছে রাজ্যের মানুষের দেশপ্রেম। ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হয়েছে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের সরকার রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা থেকে মানুষের নিরাপত্তা, করোনা মোকাবিলা থেকে আম জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
এর আগে মোট ৪ জন উত্তরপ্রেদেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের ক্ষমতায় এসেছেন। তবে তারা কেউই পুরো ৫ বছর থাকতে পারেননি। ১৯৮৫ সালে শেষবার পরপর দুবার ক্ষমতায় এসেছিলেন নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি। এর ৩৭ বছর পর পরপর দুবার ক্ষমতায় এলেন যোগী। এর আগে পরপর দুবার যারা মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছিলেন তারা হলেন সম্পূর্ণানন্দ(১৯৫৭), চন্দ্রবাবু গুপ্তা(১৯৬২), হেম্বতিনন্দন বহুগুণা(১৯৭৪)।
কৃষি আইন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল বিজেপি। কারণ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এক বিরাট অংশের জাঠ ও সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন কৃষি আন্দোলোনে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে কৃষি আইন তুলে নিয়ে ও অন্যান্য বিভিন্ন ভাবে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে তাদের ম্যানেজ করেছে বিজেপি। পাশাপাশি, হাথরাসের মতো ইস্যু কোনও ধাক্কাই দিতে পারেনি গেরুয়া শিবিরকে। এদিন তাঁর ভাষণে আদিত্যনাথ বলেন, যখন আমরা করোনার সঙ্গে লড়াই করছিলাম বিরোধীরা তখন আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল। আমদের ভোটে জিতিয়ে মানুষ সুশাসনের পক্ষেই রায় দিয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কাজ করে যাওয়া।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় উতরাখণ্ড ও গোয়া নিয়ে একটা নড়বড়ে অবস্থা ছিল বিজেপির। ফল প্রকাশের পর সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়ে গিয়েছে। পঞ্জাবকে নিয়ে কোনও আশা ছিল না গেরুয়া শিবিরের। আদিত্যনাথ আজ তাঁর ভাষণে বলেন, দেশের সাবার নজর ছিল উত্তর প্রদেশের উপরে। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আমরা উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে সরকার গঠন করব।
আরও পড়ুন-'উত্তরে আদিত্যোদয়', আলাদা আসনে লড়েও 'যাদব-গড়ে' অখিলেশকে হারালেন যোগী