বাড়িতে চলে শুধু আলো-পাখা, হতদরিদ্র পরিবারে এক মাসের বিদ্যুত্ বিল ১২৮ কোটি টাকা!
সংবাদসংস্থাকে শামিম বলেন, মনে হচ্ছে গোটা হাপুরের বিল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমার ওপরে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদ্যুত্ বিল দেখে মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়ল উত্তরপ্রদেশের হাপুরের এক ব্যক্তির। বিলে টাকার অঙ্ক গুণতে হিমসিম খেয়ে গেলেন হাপুরের চামরি গ্রামের শামিম। আগে বিদ্যুত্ খরচ হতো ৭০০-৮০০ টাকার। এমাসে রাজ্য বিদ্যুত্ দফতর বিল পাঠিয়েছে ১২৮ কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুন-চিড়িয়াখানা খুলবে দুপুর আড়াইটেয়, ঘোষণা হচ্ছে তৃণমূলের মিছিলে
বিপুল অঙ্কের ওই বিদ্যুত্ বিল সংশোধন করতে গিয়ে ঘেমে গিয়েছেন বছর ষাটের ওই বৃদ্ধ। কিন্তু বিল ঠিক করা তে দূরের কথা শামিমের বাড়ির সংযোগ কেটে দিয়েছেন বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা।
সংবাদসংস্থায় খবর অনুযায়ী শামিমকে বিল দেওয়া হয়েছে ১২৮,৪৫,৯৫,৪৪৪ টাকার। শামিম জানিয়েছেন, এখন কেউ আমার কথা শুনছেন না। এত টাকা দেব কী করে। যখন এনিয়ে অভিযোগ করতে গেলাম তখন কেটে দেওয়া হল বাড়ির বিদ্যুত্ সংযোগ। বলা হল যতক্ষণ পর্যন্ত ওই টাকা দিই ততক্ষণ সংযোগ জোড়া হবে না।
আরও পড়ুন-কাউন্সিলর স্ত্রী বিজেপিতে, স্বামী যাচ্ছেন একুশের সমাবেশে, বললেন 'আলাদা ঘরে থাকি এখন'
পরিবারে রয়েছেন একমাত্র স্ত্রী। তাতেই ওই বিপুল টাকার বিল। সংবাদসংস্থাকে শামিম বলেন, মনে হচ্ছে গোটা হাপুরের বিল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমার ওপরে। আমাদের ঘরে একটি মাত্র ফ্যান চলে। আর কয়েকটি আলো। তাতে এত বিল আসে কী করে!
ওই বিপুল অঙ্কের বিল নিয়ে হইটই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এনিয়ে বিদ্যুত্ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার রাম শরন বলেন, এটা কোনও টেকনিক্যাল ফলট হতে পারে। উনি যদি বিলটি আনেন তা হলে আমরা নতুন বিল দিয়ে দেব। এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়।