পড়াশোনা ছেড়ে বিয়ে করতে নারাজ, কিশোরীকে ছুরি মেরে ক্যানেলে ফেলে দিল বাবা
কিশোরীর অভিযোগ অনুযায়ী তারা বাবা ও ভাইকে খুঁজছে পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগানই সার। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় নিজের মেয়েকে ছুরি মেরে ক্যানেলে ফেলে দিল বাবা। উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরের ঘটনা। হাসপাতালে মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই কিশোরী।
মেয়ে চাইছিল পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। কিন্তু পরিবারের লোকজন চাইছিল ভালো পাত্র দেখে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিতে। এনিয়ে ১৫ বছরের ওই কিশোরীর সঙ্গে তার বাবা-মার সংঘাত চরমে ওঠে।
আরও পড়ুন-সরকারি গাড়ি চেপে এসেও শেষরক্ষা হল না, লুকিয়ে বিয়ে করতে এসে গণ পিটুনিতে মাথা ফাটল হবু বরের
ওই কিশোরী সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছে, ‘বাবা আমাকে ক্যানেলের পাড়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তার সঙ্গে ছিল আমার ভাই। ও আমার গলায় একটা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে। আর পেছন থেকে বাবা একটি ছুরি দিয়ে আমাকে কোপাতে থাকে। চিত্কার করে আমি ওদের থামতে বলি। কিন্তু বাবা থামেনি। বাবার একটাই দাবি, পড়াশোনা থামিয়ে আমাকে বিয়ে করতে হবে।’
ছুরি দিয়ে কোপানোর পর ওই কিশোরীকে ঠেলে ক্যানেলে ফেলে দেয় কিশোরীর বাবা। কিন্তু জলে পড়ে যাওয়ার পর সে সাঁতরে কিছুটা দূরে চলে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। পরে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে।
আরও পড়ুন-ওনার কাছে ইগোর লড়াই, আমাদের কাছে বাঁচার লড়াই, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা
এদিকে, ওই কিশোরীর জামাইবাবুও একই কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ওর দিদির স্বামী। ও বেশ কয়েক মাস আমাদের বাড়িতে ছিল। ওর বাবা-মা চাইতো না ও পড়াশোনা করুক। কয়েক দিন আগে ওকে ওর বাবা-মা বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আজ খবর পাচ্ছি ওকে জখম অবস্থায় ক্যানেলের কাছে পাওয়া গিয়েছে।’
কিশোরীর অভিযোগ অনুযায়ী তারা বাবা ও ভাইকে খুঁজছে পুলিস। জানিয়েছেন পুলিস আধিকারিক দীনেশ ত্রিপাঠি। তিনি আরও জানান, ওই কিশোরীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।