নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই ‘দুষ্কৃতী’-কে গুলি করে মারল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। এই ঘটনাকে এনকাউন্টার বলে দাবি করছে প্রশাসন। তবে সবচেয়ে বড় খবর হল, ওই এনকাউন্টারের সময় মিডিয়ার কর্মীদের ডাকা হল তার ছবি তোলার জন্যে। যোগী আদিত্যানাথ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইতিমধ্যেই ৬৬টি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। তার সঙ্গে আরও একটি যোগ হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দলিত ছেলেকে বিয়ের 'শাস্তি', মেয়েকে কোপাল বাবা!


আলিগড়ের ওই এনকাউন্টারের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই গুলি চালাচ্ছেন বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরা পুলিসকর্মীরা। হাতে অটোমেটিক গান। একটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনের মধ্যে দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিয়েছিল। তাড়া করে এসে সেখানেই তাদের গুলি করে মারা হয়। নিহত দুজনের নাম মুস্তাকিম ও নৌশাদ বলে জানিয়েছে পুলিস। এদের বহুদিন ধরেই খোঁজা হচ্ছিল বলে জানানো হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ৬ জনকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ২ জন পুরোহিত।


পুলিস প্রধান অজয় সাহানি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “সকাল ছটা নাগাদ সময় ওই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। দুজন লোক বাইকে চড়ে পুলিসের গাড়িকে পাস কাটিয়ে চলে যায়। পুলিস তাদের থামতে বলে। এরপরই তারা পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পুলিস তাদের তাড়া করলে তারা একটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনে লুকিয়ে পড়ে গুলি চালাতে থাকে। পুলিসও পাল্টা গুলি চালায়। এতেই তারা আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।”


আরও পড়ুন-বুক পকেটে রাখা নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন! ধোঁয়া বেরোতে দেখেই হতভম্ব প্রৌঢ়


পুলিস আরও জানিয়েছে, বুধবারও আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ৬ জনকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। গত বছর মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত এনকাউন্টারে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর প্রদেশে। মোট এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজারের বেশি। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকশো জনকে।


এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেফতার না করে এনকাউন্টার করে কেন মেরে ফেলা হচ্ছে দুষ্কৃতীদের। পুলিসের দাবি, রাজ্যে দুষ্কৃীতিদের দৌরাত্ব কমাতে এনকাউন্টার একটা উপায়। এটা রাজ্য প্রশাসনের কোনও নীতি নয়। পুলিসের একটা কৌশল মাত্র। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে একেবারে পেশাদারি কায়দায় মোকবিলা করা হচ্ছে।