নিজস্ব প্রতিবেদন- কেরলের মলপ্পুরামে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাইয়ে মারা হয়েছিল একটি গর্ভবতী হাতিকে। এরপর ঝাড়খন্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাতির ওপর অত্যাচারের একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। গোটা দেশের পশুপ্রেমীরা মানুষের এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। একের পর এক ঘটনার পর এবার নড়েচড়ে বসেছে উত্তরাখণ্ডের বন দফতর। ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র সাহায্যে এবার উত্তরাখণ্ডে হাতিদের গলায় রেডিও কলার পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বন দফতরের কর্তারা মনে করছেন, এর ফলে মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘাত এড়ানো সম্ভব হবে। হাতির দল গ্রামে ঢুকে পড়ার আগেই তাদের তাড়িয়ে দেওয়া যাবে। এর ফলে হাতিদের ওপর সাধারণ মানুষের আক্রমণের সম্ভাবনা কমবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরের বছর মহাকুম্ভ মেলার কথা মাথায় রেখেই হাতিদের রেডিও কলার পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে নদীর ধারে, জঙ্গলের পাশে বহু মানুষ তাবু খাটিয়ে থাকেন। সেইসব এলাকা এলিফ্যান্ট করিডোর। ফলে মানুষ ও হাতির সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের সরকার ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বন দফতর জানিয়েছে, মহাকুম্ভের সময় মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দু'পক্ষই হতাহত হতে পারে। সেই সংঘাতের সম্ভাবনা এড়াতেই হাতিদের রেডিও করার পরানোর কথা ভাবা হয়েছে। আপাতত ১৩টি হাতিকে রেডিও কলার পরানো হবে। এর ফলে হাতিদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হবে। লোকালয়ে ঢোকার আগেই যাতে তাদেরকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।


আরও পড়ুন- চিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাত করছে নেপাল, বর্ডার পরিদর্শনে নেপালি সেনাপ্রধান


এই রেডিও কলার-এর কার্যকারিতা শেখানোর জন্য ইতিমধ্যে একটি দলকে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বনদফতর জানিয়েছে, হরিদ্বারের কাছে তেধিপুলিয়ায় হাতি ও মানুষের সব থেকে বেশি সংঘাত হয়। ওই অঞ্চলে লেপার্ডের আনাগোনা রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বন দফতর কয়েকটি লেপার্ডের গলায় রেডিও কলার বাঁধার পরিকল্পনাও করেছে।