নিজস্ব প্রতিবেদন: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঘটা ভিমা কোরেগাঁও জাতি হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন শহর থেকে সমাজকর্মীদের গ্রেফতার করল পুনা পুলিস। মঙ্গলবার দিল্লি, মুম্বই, হরিয়ানা, হায়দরাবাদ, রাঁচিতে একযোগে একাধিক সমাজকর্মী ও বিদ্বজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুনা পুলিস। ইতিমধ্যে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার হয়েছেন বিশিষ্ট কবি ও সমাজকর্মী ভরভারা রাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষার অভিযোগও রয়েছে ভরভারার বিরুদ্ধে। ধৃতদের মধ্যে এছাড়াও রয়েছেন শুধা ভরদ্বাজ (ফরিদাবাদ), অরুণ ফেরেইরা, ভেনন গনজালভেস প্রমুখ। ধৃতদের বাড়ি থেকে একাধিক ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ ও অন্যান্য নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৮১৮ সালের কোরেগাঁও-ভিমা যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তি উদযাপনকারী এলগার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত জুনে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠিতেই এই ঘটনায় ভরভারা রাও-এর নাম সামনে আসে। সে সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন দলিত সমাজকর্মী সুধীর ধাওয়ালে (মুম্বই), আইনজীবী সুরেন্দ্র গাডলিং, সমাজকর্মী মহেশ রাউত, শোমা সেন (নাগপুর) এবং রোনা উইলসন (দিল্লি)।


উল্লেখ্য, ১৮১৮ সালে মারাঠা পেশোয়াদের বিরুদ্ধে ইংরেজরা যুদ্ধে নামে। সেই যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ভিমা কোরেগাঁও-এর দলিত সম্প্রদায়। সেই ঐতিহাসিক যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল মারাঠা পেশোয়ারা। সেই থেকে ওই জয়কে নিজেদের শৌর্য, গৌরব ও সাফল্যের দিন হিসাবে উদযাপন করেন দলিতরা। ২০১৮ সালে সেই জয়ের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ভিমা কোরেগাঁও এলাকায় সমবেত হয়েছিলেন অসংখ্য দলিত। কিন্তু, বেশ কয়েকটি 'দক্ষিণপন্থী সংগঠন' এই উদযাপনের বিরোধিতা করে। তাদের দাবি, এই জয় আসলে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শক্তির জয় এবং এর উপযাপনের কোনও কারণ নেই। এরপরই সমবেত দলিতদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এর জেরে বিক্ষোভকারীরা পথ অবরোধ শুরু করেন। এরপরই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে কোনও প্রকাশ জাতি হিংসার স্থান নেই।


ভরভারা রাও-সহ একাধিক সমাজকর্মীকে গ্রেফতারির এই ঘটনাকে গেরুয়া শিবিরের 'রাজনৈতিক অভিসন্ধি' হিসাবে দেখছে সমাজের একাংশ।