নিজস্ব প্রতিবেদন- ফুটকা। শব্দটা শুনলেই অনেকের জিভে জল চলে আসে। কিন্তু কখনও কি আমরা এই জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড-এর গুণগত মান বিচার করে দেখি! কখনও যাচাই করতে চাই যে ফুচকার টকজল কোথা থেকে নেওয়া হয়! এত কিছু খতিয়ে দেখে ফুচকা খাওয়া সম্ভব নয়। তাই এত খোঁজ-খবর আমরা কেউই রাখি না। তবে এবার হয়তো রাস্তার খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ের সময় এসেছে। ফুচকা খেতে যাওয়ার আগে একবার অন্তত টকজলের উত্সের খোঁজ অবশ্যই করে নেবেন। কারণ, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের একটি ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোলাপুরের রণকলা ঝিলের সামনে বসত এক ফুচকাওয়ালা। স্বাদে-গন্ধে তাঁর ফুচকা ছিল অতুলনীয়। তাই বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে তাঁর ফুচকার স্টল-এর সামনে মানুষের ঢল নামত। বহু দূর থেকেও সেই ফুচকাওয়ালার কাছে ফুচকা খেতে আসতেন অনেকে। ঝিলের আশেপাশের এলাকা ছিল সিসিটিভি-র আওতায়। একদিন কর্তৃপক্ষ সেই সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে চমকে ওঠেন। দেখা যায় সেই ফুচকাওয়ালা শৌচাগারের জল মেশাচ্ছে টকজলে। এর পর কয়েকদিন ধরে সেই ফুচকাওয়ালার উপর চুপিসারে নজর রাখা হয়। দেখা যায়, প্রায় রোজই সে শৌচাগারের জল ব্যবহার করছে। তার পরই উন্মত্ত জনতা সেই ফুচকাওয়ালার গাড়ি ভাঙচুর করে। ফুচকাসহ সমস্ত সরঞ্জাম ফেলে দেয় জনতা। 


আরও পড়ুন-  ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান! দীপাবলিতে রাম জন্মভূমিস্থলে জ্বলে উঠবে ৫ লাখ প্রদীপ


সেই ফুচকাওয়ালা নিজর ভুল শিকার করে নিয়েছে। তবে সেই সিসিটিভি ফুটেজ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। লোকজন সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছেন। শৌচাগারের জল ব্যবহারের ফলে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দিনের পর দিন এমন দুষ্কর্ম করেছিল সেই ফুচকাওয়ালা। তাঁকে আপাতত পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা।