ভিডিয়ো: টেবিলের নীচে ফোঁস ফোঁস শব্দ, টর্চ মারতেই বেরিয়ে এল কিং কোবরা!
বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাপের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাপের ফলে ব্যাঙ, ইঁদুর, ছুঁচো, ছোট সাপ ইত্যাদি দ্রুত প্রজননকারী প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : টেবিলের নীচে কুন্ডলীটি দেখেই আঁতকে উঠেছিলেন বাড়ির মালিক। খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা যখন অনুপ্রবেশকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না তাঁর। আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল বিশাল শঙ্খচূড় সাপের উদ্ধারকাজের ভিডিয়ো।
ভিডিয়োটি টুইট করেন আইএফএস অফিসার আকাশকুমার বর্মা। নৈনিতালের ডিএফও উদ্ধারকার্যে গিয়ে এই ভিডিয়োটি তুলেছেন। হাড়হিম করা এই ভিডিয়ো নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে সাপটির মুখ চেপে ধরে তাকে বের করে আনছেন বনদফতরের কর্মীরা। এরপর তাকে নির্দিষ্ট বস্তায় ভরা হয়। সেই সময়ে অবশ্য একটু বিরক্তি প্রকাশও করে বিশাল শঙ্খচূড় সাপটি। সাহায্যে এগিয়ে আসেন আরও এক বন কর্মী। দুজনে মিলে বস্তায় ভরে ফেলেন সাপটিকে।
শঙ্খচূড় বিশ্বের দীর্ঘতম (প্রায় ১৬-১৭ ফুট পর্যন্তও হতে পারে) বিষধর সাপ। প্রাথমিকভাবে এই সাপ অন্যান্য ছোট সাপদের খেয়ে থাকে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্ব ষথেষ্ট।
সাধারণত শারীরিক পরীক্ষার পর রিলোকেশনের ব্যবস্থা- অর্থাত্ জনবহুল এলাকা থেকে দূরে নিরাপদ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় উদ্ধার করা সাপদের। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাপের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাপের ফলে ব্যাঙ, ইঁদুর, ছুঁচো, ছোট সাপ ইত্যাদি দ্রুত প্রজননকারী প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সাপ দেখতে পেলে তাকে মারার চেষ্টা করা উচিত্ নয়। কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তাঁকেও বাধা দেওয়া উচিত্। বনদফতরে জানানো প্রয়োজন। প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিসকর্মীদেরও সাহায্য নিতে পারেন এবিষয়ে। বর্ষায় জঙ্গল এলাকায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন ও বাড়ির আশেপাশে কার্বনিক অ্যাসিড ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন : Covid-19 চালান কাটত 'নকল' পুলিস, পর্দাফাঁস করল 'আসল' পুলিস