ওয়েব ডেস্ক: দলীয় পদ এবং মন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন পাঞ্জাব বিজেপির সভাপতি তথা সমাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় সম্পলা। "আমি কখনই ইস্তফা দেওয়ার কথা বলিনি" বলে জানিয়ে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই দুঁদে রাজনীতিক। আর ঠিক এখানেই প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ। কারণ, অনেকেই মনে করছেন যে বিজেপির মতো কড়া অনুশাসনের দলে তাঁকে হয়ত পিছু হঠতে হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ সকাল পর্যন্ত খবর ছিল যে বিধানসভা নির্বাচনের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে পঞ্জাবে টিকিট বিলিতে অসন্তুষ্ট হয়ে দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিজয় সম্পলা।


বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ছয় জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই কার্যত নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজয় বলে খবর ছিল। সূত্রের মারফত্ জানা গিয়েছিল, পঞ্জাবের ফাগওয়ারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সোম প্রকাশকে প্রর্থী করায় চটেছেন রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। ওই কেন্দ্র থেকে নিজের পছন্দের একজনকে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। আর তাতে বাধা সৃষ্টি হওয়াতেই নাকি তিনি রুষ্ট এমনটাই ছিল দাবি।


আরও পড়ুন- শিনা বরা হত্যাকাণ্ড: সিবিআই আদালতে খুনের অপরাধে অভিযুক্ত ইন্দ্রানী ও পিটার


শোনা যাচ্ছিল, সম্পলা একেবারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, দল যদি এই প্রার্থী তালিকা সংশোধন না করে তাহলে তিনি দলীয় পদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এখন সেই খবরের কার্যত কোনও সত্যতা নেই বলেই উল্লেখ্য, বর্তমানে মন্ত্রী রয়েছেন এমন দু'জনকে আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলা বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া হয়নি বিজেপির পক্ষ থেকে। অকালি দলের সঙ্গে জোটে থাকার ফলে পঞ্জাবে জোটধর্ম পালন করে ১১৭ আসনে লড়বে বিজেপি। সর্বশেষ ৬ প্রর্থীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে ১১৭ আসনের মধ্যে মোট ২৩ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করল বিজেপি।


কিন্তু বিজেপির মতো দলে যেখানে কড়া অনুশাসনই সংগঠনের অন্যতম বৈশিষ্ট, সেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি এমন প্রকাশ্য বিক্ষোভে রীতি মতো চমকিত হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। অনেকেই সম্পলার এই বিক্ষোভে সমাজবাদী পার্টির ছায়া দেখতে শুরু করেছিলেন। কারণ, লখনউ-এর 'যদু বংশ'-এ ভাঙন ধরার অন্যতম ইস্যু ছিল বিধানসভা ভোটে টিকিট বিলির একচ্ছত্র অধিকার। কাকা শিবপাল (বকলমে মুলয়মের হাতে) নাকি ভাইপো টিপু কে হবেন টিকিট বন্টনে শেষ কথা- এই ছিল দ্বন্দ্বের কারণ। আর এবার সেই 'টিকিট টক্কর' ছায়াই ধরা পড়ছিল দেশের শাসক দলের অন্দরেও। কিন্তু শেষ অবধি বিজয় সম্পলার পক্ষ থেকে তাঁর পদত্যাগের খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হলে আপাতত সেই সম্ভবনায় ইতি টানা হয়েছে। তবে, অনেকেই বলছেন সম্পলার ঘটনার মাধ্যমেই আবারও সামলে এল ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠনের কড়া অনুশাসন।


আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর চরকা কাটার ছবি নিয়ে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, শুনেছেন?