উর্জিতের সঙ্গে ইস্তফা ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের?
বিরল আচার্যর ইস্তফার খবরটি সত্য নয়, জানাল আরবিআই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁর ডেপুটি বিরল আচার্যও। উর্জিতের পটেলের ইস্তফার পরই এমন জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে আরবিআইয়ের মুখপাত্র জানিয়ে দেন, বিরল আচার্যর ইস্তফার খবরটি সত্য নয়।
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল। আরবিআইয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গভর্নর এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। আরবিআইয়ের বোর্ড, অধিকর্তা এবং কর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন উর্জিত প্যাটেল।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ ৩.৬ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব গিয়েছিল আরবিআইয়ের কাছে। আরবিআইয়ের কাছে বর্তমানে জমা অর্থের পরিমাণ ৯.৫৯ লক্ষ কোটি। সেই অর্থের এক তৃতীয়াংশের বেশি টাকা চাওয়া হয়েছে। সরকার ও আরবিআইয়ের মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের মন্তব্যে। তিনি বলেছিলেন, ''কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে সম্মান করে না সরকার। দেরিতেও হলে তার প্রভাব আর্থিক বাজারে পড়তে পারে''। ফলে বিরলের ইস্তফার খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। কিন্তু আরবিআই জানিয়ে দেয়, ইস্তফা দেননি ডেপুটি গভর্নর।
লোকসভার নির্বাচনের মুখে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য ক্রমাগত চাপ তৈরি করে কেন্দ্র। অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত ব্যাঙ্কগুলির ঋণনীতি বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে শিথিল করা কথা বলা হয়। তবে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ব্যাঙ্কগুলি যতক্ষণ না নিজেদের স্বাস্থ্য ফেরাচ্ছে, আরোপিত ঋণনীতির উপর হস্তক্ষেপ করবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এছাড়া নগদহীনতায় ভুগতে থাকা ব্যাঙ্ক নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলিকে অর্থ দেওয়ার ব্যাপারেও কেন্দ্রের দাবি নাকচ করেন উর্জিত প্যাটেল।
উর্জিতের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লেখেন,''বড়মাপের অর্থনীতিবিদ উর্জিত প্যাটেল। ক্ষু্দ্র অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে এলোমেলো অবস্থা থেকে সঠিক পথে এনেছেন উনি। বিরাট ছাপ ছেড়ে গেলেন উর্জিত প্যাটেল। আমরা তাঁর অভাব অনুভব করব। তাঁর নেতৃত্বে আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরেছে ''।
আরও পড়ুন- আরবিআইয়ের উদ্বৃত্ত অর্থ সরানো নিয়ে সরকারের চাপ সামলাতে পারলেন না উর্জিত?