নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবতা মানেই আমরা সাধারণত যুদ্ধবিগ্রহ না হয় কাব্যগীতাদিরস উপভোগকারী বলে মনে করি। সেই ভাবনায় বিশ্বকর্মা এক মূর্তিমান বিপ্লব! তিনি দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার! ভাবলেই আশ্চর্য লাগে। রীতিমতো অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যায় জারিত যন্ত্রবিদ্যার মতো তুলনায় আধুনিক কালের একটি বিষয় যুগ যুগ আগের সেই দেবতাদের রাজত্বেও ছিল! শুধু ছিলই না, সেই বিষয়ে পারঙ্গম একজন দেবতাও নির্ধারিত!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বকর্মার উল্লেখ রয়েছে ঋগ্বেদে। কন্যা সংক্রান্তির দিনে তাঁর পূজার বিধান। দিনটিতে সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করে। এই হিসেবে বিশ্বকর্মার পুজোর দিনটি মোটামুটি নির্দিষ্টই থাকে প্রতি বছর।


আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: মৃত্যুর চার মাস পর দেওয়া হল vaccine! যোগীর রাজ্যে অবাক কাণ্ড


শুধু ইঞ্জিনিয়ার কথাটা অবশ্য বিশ্বকর্মার ক্ষেত্রে খাটে না। তিনি হলেন একাধারে যন্ত্রবিদ, ছুতোর, ভাস্কর, মেকানিক, আর্কিটেক্ট। তাঁর মুকুটে ভয়ানক ভয়ানক সব পালক-- শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা তাঁরই নির্মিত, রাবণের সোনার লঙ্কা, পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির ও মূর্তি। আরও আছে। বিশ্বকর্মাই তৈরি করে দিয়েছেন শিবের ত্রিশূল, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, রাবণের পুস্পক রথ, ইন্দ্রের বজ্র।


বিশ্বকর্মার চার হাত। এক হাতে মাপক ফিতে, এক হাতে স্কেল, এক হাতে বই, আর অন্য হাতে একটি পাত্র। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, ওড়িশা, বিহার, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং কর্ণাটকে বিশ্বকর্মার পুজোর ঐতিহ্য আছে।


নিজেদের ব্যবসায় সাফল্য আনতে বিশ্বকর্মার আরাধনা করে থাকে মানুষ। সাধারণত যন্ত্রের সঙ্গে পেশার যোগ আছে এমন মানুষজনই বিশ্বকর্মার আরাধনা করেন। কর্মক্ষেত্র থেকে অশুভশক্তিকে দূরে রাখতেই বিশ্বকর্মার পুজোর চল।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: ICG: ভারতীয় জলসীমায় পাক-বোটকে ধরল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, তদন্ত চলছে