নিজস্ব প্রতিবেদন: অধীর চৌধুরীর টুইট বিজেপি হাতে তুলে দিয়েছে অস্ত্র। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাকে নিশানা করলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা মন্ত্রী ভিকে সিং। তাঁর প্রশ্ন, অধীর চৌধুরীর জায়গায় অধীর খান হলে কি তাঁর বিবৃতি আরও গুরুত্ব পেত? কোথায় নেমে এসেছি আমরা। এই ঘটনায় কীভাবে সাম্প্রদায়িক রং লাগানো হচ্ছে?              


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতবছর পুলওয়ামায় সেনামৃত্যুর ঘটনায় আরও একবার তদন্ত চেয়েছেন অধীর। বিকে সিং বলেন,''অধীরের সংশয় কোথায়? কারা দোষী? তারা কি ভারতীয় বা অন্য কেউ? আমার মনে হয়, ওনার একটু বিশ্রাম দরকার।'' তিনি আরও বলেন,''সেনা উর্দিতে কাশ্মীরে কটা দিন কাটালে কিছু জিনিস উনি শিখতে পারতেন।''             


দুই হিজবুল জঙ্গির সঙ্গে কুলগাম থেকে পাকড়াও পুলিসকর্তা দেবেন্দর সিং। শনিবারের সেই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়! এবার সেই দেবেন্দরকে নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন অধীর চৌধুরী। তাঁর টুইট, দেবেন্দর সিং যদি দেবেন্দর খান হতেন, তাহলে আরএসএস-এর ট্রোল রেজিমেন্টের প্রতিক্রিয়া আরও কড়া এবং জোরদার হতো। ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে দেশের শত্রুদের নিন্দা করা উচিত। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, পুলওয়ামা কাণ্ডে আসল দোষী কারা? নতুন করে তা খতিয়ে দেখা দরকার।



দেবেন্দর ধরা পড়ার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ভুল তো বলিনি। অবস্থানে অনড় অধীর। সন্ত্রাসের সঙ্গে ধর্মের যোগ টেনে আসলে নোংরা রাজনীতি করছে কংগ্রেস। দেশকে খাটো করে, পাকিস্তানকে অক্সিজেন যোগাচ্ছে হাতশিবির। পাল্টা জবাব দিতে মাঠে বিজেপিও। 


তথ্য বলছে। দেবেন্দর সিং দীর্ঘদিন কাশ্মীরে কাজ করেছেন। এমনকি তাঁর প্রসঙ্গ টেনেছিলেন আফজল গুরুও। হিজবুল জঙ্গিদের সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়া DSP-কে দিল্লি আনার তোড়জোড় চলছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে NIA-কে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত ঘটনা নিয়ে রাজনীতি কেন? পাল্টা সওয়াল জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উপদেষ্টার। দেবেন্দর কাণ্ড নিয়ে শোরগোল অব্যাহত। এবার তা শুরু রাজনৈতিক তরজাও। 


আরও পড়ুন- জাতীয়স্তরে NRC-CAA নিয়ে মমতার সঙ্গে দোস্তিতে আপত্তি নেই ইয়েচুরির