নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থানে দলের ৬ বিধায়ককে হুইপ জারি করে কংগ্রেস বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মায়াবতী। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, এই নির্দেশ অমান্য করলে দল-বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করা হতে পারে। এনিয়ে ৬ বিধায়ককে ব্যক্তিগতভাবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছেও এ নিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মায়াবতীর এই সিদ্ধান্ত রাজস্থানের রাজনৈতিক চাপানউতরে নতুন মাত্রা যোগ করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কংগ্রেস যদি আস্থা ভোটের পথে হাঁটে, তাহলে বিএসপির বিধায়করা যেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেয়, মায়াবতীর এমন নির্দেশে অক্সিজেন পেল গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার আসার ৬ মাসের মধ্যেই বিএসপির ৬ বিধায়ক সদলবলে কংগ্রেসে যোগদান করেন। সে সময় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছিলেন মায়াবতী। এ দিন দলের তরফে বলা হয়, বিএসপি একটা জাতীয় রাজনৈতিক দল। রাজ্য স্তরে কোনও সংযুক্তিকরণ মেনে নেওয়া হবে না।


আরও পড়ুন: ১০১ বছর বয়সে করোনা জয় মঙ্গমার, কীভাবে সম্ভব হলো জানালেন চিকিত্সকরা


উল্লেখ্য, আজ রাজস্থান সরকারের ‘ভাগ্য নির্ণয়’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার। হাইকোর্টের নির্দেশে স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন সিপি জোশী। সুপ্রিম কোর্টে স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতা খতিয়ে দেখতেই এদিনের শুনানি।


অন্য দিকে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আস্থাভোটের পথে না হেঁটে আগামী ৩১ জুলাইয়ে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার আবেদন জানিয়েছন তিনি। করোনা সংক্রান্ত নিয়ে আলোচনাকে যুক্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে। সূত্রে খবর, করোনা নিয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন অশোক গেহলট। সেখানে দলের মধ্যে হুইপ জারি করা হতে পারে। সচিন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীরা যদি উপস্থিত না হয়, বা বিপক্ষে ভোট দেয়, তাহলে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে পত্রপাট তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করতে পারে কংগ্রেস। এটাকেই হাতিয়ার করে স্পিকারের কাছে অধিবেশন ডাকার আর্জি করেছেন গেহলট। এমনটা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে, এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া মেলেনি রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের তরফে।