১০১ বছর বয়সে করোনা জয় মঙ্গমার, কীভাবে সম্ভব হলো জানালেন চিকিত্সকরা
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠায় সবচেয়ে বড় ওষুধ হিসেবে কাজ করেছে তাঁর ইচ্ছাশক্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্তর বয়স ৬০ এর বেশি হলেই ভয়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে অনেকের। এই বুঝি প্রাণ যায় যায়। তবে সব যুক্তি তর্কের বেড়াজাল ভেঙে ১০১ বছরে করোনা কাত করে বাড়ি ফিরলেন অন্ধ্র প্রদেশের পালাকুরি মঙ্গমা। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠায় সবচেয়ে বড় ওষুধ হিসেবে কাজ করেছে তাঁর ইচ্ছাশক্তি।
অন্ধ্র প্রদেশের সবচেয়ে প্রবীণ নোভেল জয়ী হিসেবে শ্রী ভেঙ্কটেশর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিরুপতির এই বৃদ্ধা। চিকিৎসায় ক্রমাগত সাড়া দিয়েছেন মঙ্গমা এবং তাঁর এই ক্রমাগত সাড়া দেওয়ার কারণ হলো তাঁর প্রবল ইচ্ছাশক্তি। তার দরুনই সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফেরার সময় মঙ্গমার পা ছুয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন ডাঃ রাম। তিনি জানিয়েছেন ইচ্ছাশক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে আশা হারিয়ে ফেলেন। মঙ্গমা তাঁদের কাছে উদাহরণ।
আরও পড়ুন: বৌদির পাপড়ের পর হনুমান চালিশা, দিনে ৫ বার পাঠ করলেই পালাবে করোনা, নিদান প্রজ্ঞার
তবে শুধু মঙ্গমা নয়, ৮৫ বছর বয়সে তিরপতির আরেক হাসপাতাল থেকে করোনা কাত করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অন্য এক বৃদ্ধা। তাঁর সন্তান করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। তবে করোনা লড়াইয়ে তিনি বিজয়ী।
৮৬ বছর বয়সে আরেক বৃদ্ধাও বিজিয়নগরম জেলায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মহারাজা ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে চিকিৎসা চলাকালীন খাবার চিবিয়ে খেতে পারতেন না এই বৃদ্ধা। তখন সব রকম ভাবে সহায়তা করেছিলেন কোভিড যোদ্ধা কনস্টেবল রাধিকা। তিনি এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সেই কনস্টেবলকে স্যালুট জানিয়েছেন সে জেলার এসপি রাজা কুমারি।