ওয়েব ডেস্ক: নিজেকে সাধু বলে দাবি করেন। অথচ তাঁর রাজসিক জীবন‌যাপন দেখলে চোখ কপালে উঠবে। হরিয়ানায় ডেরা সচ্চা সওদা হার মানাবে পাঁচতারা হোটেলকেও। বিলাসবহুল জীবন‌যাপন করতেন ধর্ষক গুরমিত রাম রহিম। তাঁর গুফায় থাকতেন প্রায় দুশো জন সাধ্বী। সবার সঙ্গেই শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে রাম রহিম। মহিলাদের সুরক্ষিত রাখতে পুরুষদের শিষ্যদের বলতেন আত্মত্যাগ করতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান রাম রহিমের বিরুদ্ধে জোর নসবন্দি করার অভি‌যোগ করেছেন তাঁর একদা শিষ্য হনসরাজ চহ্বাণ। ২০১২ সালে তিনি পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জনৈক গুরুদাস সিং তুর এই মামলার প্রধান সাক্ষী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ অক্টোবর। 


জোড়া ধর্ষণ মামলার দোষী রাম রহিম জেলে ‌যেতেই মুখ খুলেছেন হনসরাজ। তাঁর কথায়,"আমার মা-বাবা ডেরার ভক্ত ছিলেন। ছোটবেলায় আমিও গিয়েছিলাম। ১৯৯৯ সালে আমাকে আত্মত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তখন ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। ২০০০ সালে একটা অপারেশন করে আমায় নপুংশক করে দেওয়া হয়েছিল।" প্রায় দুহাজার জনকে নপুংশক বানিয়েছেন রাম রহিম। তাঁদের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। ব্রহ্মচারী সেবাদার হিসেবেই তাঁরা পরিচিত ছিল। গুফার নজরদারিতে থাকেন এই ব্রহ্মচারীরা। ওই গুফাতেই প্রায় দুশো জন সাধ্বীর সঙ্গে থাকতেন রাম রহিম। শিষ্যদের পুরুষত্বহীন করে সাধ্বীদের নিজের দখলে রাখাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। তাঁর সেই গুফাতেই ঢুকেছিল জি নিউজ। সেখানের ভিডিওটি দেখলে চমকে ‌যাবেন 



১৬-১৭ সালের বালকদের ধরে আনা হত। এরপর তাঁদের পুরুষত্বহীন করে দিত ডেরা সচ্চা সওদা। 


আরও পড়ুন, রাম রহিম সিং নাকি 'নপুংসক', দাবি ধর্ষক বাবাজিরই