নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিস স্টেশনে ঢুকে সাধারণত সকলে একটু ঘাবড়ে যান। থানার রাশভারী পুলিসকর্মীদের দেখলে সবারই একটু পিলে চমকে যায়। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করেননি তিনি। মঙ্গলবার থানায় ঢুকে দেদার বাঁদরামি চালালেন তিনি। কখনও মহিলা পুলিসকর্মীকে দেখে ভেঙচি কাটলেন, কখনও আবার সোজা দারোগার চেয়ার দখল করলেন। শেষ মেষ এক পুলিসকর্মীর ঘাড়ে বসে উকুন বেছে খাওয়াও শুরু করে দিলেন। না হেঁয়ালি নয়, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট জেলায় একটি পুলিস থানায় এমনই তান্ডব চালাল একটি বাঁদর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



থানায় কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাত্ই থানার জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ে একটি বাঁদর। আর তার পরেই তার কাজকর্মে হুলুস্থুল পড়ে যায় থানাজুড়ে। প্রথমে লাঠি হাতে বাঁদর তাড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক মহিলা পুলিসকর্মী। বাঁদর বাবাজী যে আর পাঁচটা আসামী-এর মতো নয়, তা বুঝতে পেরে আর এগোননি পুলিসকর্মীরা। নিজের মতো যে যাঁর কাজে ফিরে যান। আর তার পরেই হঠাত্ থানার এক পুলিসকর্মীর কাঁধে চেপে বসে বাঁদরটি। তার পর মনের সুখে তাঁর চুলে বিলি কাটতে ও উকুন বাছতে শুরু করে দেয়। এদিকে কামড়ের ভয়ে আপত্তিও করেননি তিনি। বাঁদর বাবাজী নিজের কাজ চালালেন। ইনস্পেক্টরবাবুও নিজের মতো কেসের ফাইল পত্র নিয়ে ব্যস্ত রইলেন। থানারই এক পুলিসকর্মীর ফোনে ধরা পড়ল এই মজার দৃশ্য। ভিডিয়োটি টুইট করেন উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। আর তার পরেই তা ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। 


 



অবশ্য গোটা ঘটনায় বেজায় মজাও পেয়েছেন ওই পুলিসকর্মী। বুধবার সকালে বাঁদরটিকে কাছের জঙ্গলে ছেড়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।