নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় এবার দিল্লির দরবারে তৃণমূল নেতারা। দলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ সকালেই দিল্লি পাড়ি দেন। দলে রয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল ও শান্তনু সেন। দুপুরেই নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে যান তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে নিজেদের যাবতীয় বক্তব্য ও অভিযোগ তুলে ধরে এই প্রতিনিধি দল।  নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত আক্রমণ? মমতার চোট ঘিরে চাপানউতোর চলছেই। পুলিসের প্রাথমিক রিপোর্টে দুর্ঘটনার ইঙ্গিত। তবে আক্রমণের তত্ত্বে এখনও অনড় রয়েছে তৃণমূল। এ নিয়ে  কমিশনকেই কাঠগড়ায় চলেছে শাসক দল। এ প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়ে কমিশন জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব।


কলকাতায় নালিশ জানিয়ে ধমক খাওয়ার পর দিল্লির দরবারে তৃণমূল। আজ কমিশনের সদর কার্যালয়ের জোড়াফুল শিবির। শুক্রবার দুপুরে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরে অভিযোগ জানাতে গিয়েছে ৬ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল। 


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: Vijayvargiya-র হাত ধরে পদ্ম শিবিরে প্রাক্তন CPM নেতা শঙ্কর ঘোষ


জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছু  ঘটনার দিনের 'প্রমাণ' তুলে দেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও যুব মোর্চার নেতা সৌমিত্র খাঁ-র বক্তব্যকেই তৃণমূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। 


বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেড সমাবেশে মন্তব্য করেছিলেন, 'ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর স্কুটার যদি নন্দীগ্রামে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনায় পড়ে, তবে তার দায় বিজেপি নেবে না'। আর প্রধানমন্ত্রী এমন বক্তৃতার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটল।' আর এই সূত্র ধরেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল। উল্লেখ্য আজ বিকেলে পাল্টা যাচ্ছে বিজেপিও। 


যদিও কমিশন জানিয়েছে, নন্দীগ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে দোষ দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। কারণ সংবিধানের ৩২৪ ধারা অনুযায়ী নির্বাচনের দায়িত্বে কমিশন থাকলেও, রাজ্যের প্রাত্যহিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকে রাজ্য প্রশাসনেরই হাতে। সেখানে কমিশনের কিছু করার নেই।