নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে আপ ও আইএএস আধিকারিকদের সংঘাতে নয়া মোড়। আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা রবিবার জানালেন, ধর্মঘট করছেন না তাঁরা। মিথ্যা খবর রটানো হচ্ছে। অথচ আইএএস অফিসাররা ধর্মঘট করছেন বলে অভিযোগ করেছেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইএএস মনীশা সেক্সেনা বলেন, ''আমরা ধর্মঘটে নেই। দিল্লির আইএএস অফিসারদের নিয়ে যা রটেছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বৈঠকে যোগ দিচ্ছি, সব দফতরের কাজও চলছে। এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করছি। সব ফাইলও দেখছি। আমাদের ধর্মঘটের জেরে নর্দমা অপরিষ্কার থাকছে, সেই খবরও অসত্য।'' তিনি আরও বলেন,''আইনের কাছেই জবাব দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আইএএস আধিকারিকরা অরাজনৈতিক। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার দরকার নেই আমাদের।'' 



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইএএস অফিসারদের নিশানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন আইএএস অফিসাররা। পরিবহণ দফতরের কমিশনার বর্ষা জোশী বলেন,''একটি রাজনৈতিক দলের লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমায় অযৌক্তিকভাবে গালমন্দ করছে। যেভাবে আমাদের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা অনুচিত। আমরা ভীত, প্রতিশোধের শিকার হচ্ছি। মুখ্যসচিবের নিগ্রহের পর সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছি। সব কাজই করছি। রাজনৈতিক কারণে আমাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।''       



 উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে আপ বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর আইএএস আধিকারিকরা ধর্মঘটে নেমেছেন বলে অভিযোগ করে আপ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদী ও উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের অঙ্গুলিহেলনে চলছেন আইএএস আধিকারিকরা। আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে ৭ দিন ধরে ধর্ণায় বসে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপ-মু্খমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন ও গোপাল রাই।


আরও পড়ুন- দিল্লিতে মুখ্যসচিবের নিগ্রহের সময় কোথায় ছিলেন? বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের প্রশ্ন বিজেপির