নিজস্ব প্রতিবেদন: জেএনইউ-তে হামলা হওয়ার পরপরই শাসক দল থেকে এই ঘটনার বিরোধিতা করে প্রথম যে টুইট আসে তা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। স্বভাবতই, তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, ঐতিহ্যবাহী জেএনইউ-র সংস্কৃতিবিরোধী এই ঘটনা। কিন্তু পরে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে উদ্বেগপ্রকাশ করে জয়শঙ্করের মন্তব্য, জেএনইউ-তে আমাদের সময়ে ‘টুকরো টুকরো গ্যাং’ ছিল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘টুকরো টুকরো গ্যাং’ বা ছন্নছাড়া দল এই কটাক্ষ প্রথম শোনা যায় প্রয়াত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির গলায়। জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র কানাইয়া কুমারের সময় সংসদ হামলার মূলচক্রী আফজল গুরু মৃত্যুতে একটি অনুষ্ঠান নিয়ে এই শব্দ প্রয়োগ করে বিজেপি। পরবর্তীকালে গেরুয়া শিবিরে অন্যান্য নেতারা বিভিন্ন সময়ে বিরোধী এবং বামপন্থী পডুয়াদের নিশানা করতে ব্যবহার করেছে ‘’টুকরো টুকরো গ্যাং’ কথাটি। জেএনইউ কাণ্ডে বিদেশমন্ত্রীও সেই একই সুরে বিঁধলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের।



আরও পড়ুন- বই-এর নেশা জিইয়ে রাখতেই 'সেলুন লাইব্রেরি', হেয়ার ড্রেসারের অভিনব উদ্যোগে মুগ্ধ স্যোশাল মিডিয়া


 গত রবিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশধারী কিছু দুষ্কৃতী প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বিক্ষোভকারী কিছু পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে জেএনইউএসইউ প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষিকা সুচরিতা সেন-সহ একাধিক পড়ুয়া-শিক্ষাকর্মীর। শুধু জয়শঙ্কর নন, আরও এক প্রাক্তনী তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন। নোবেলজয়ী অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেন, দেশ যেন নাত্সি জার্মনির পথে এগোচ্ছে।