President Droupadi Murmu: অচিরেই আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন সত্য করে তুলব, স্বাধীনতাদিবসের প্রাক্কালে দ্রৌপদী মুর্মু
ভারত এক নতুন দেশ, বিশেষত একটা ব্র্যান্ড নিউ নেশন হিসেবে যেন উঠে আসছে। তার অর্থনীতি দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই অর্থনীতি দেশের কৃষক ও শ্রমিক সমাজকে নানা ভাবে শক্তি দেবে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে দেশের এই অগ্রগতি খুবই আনন্দের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটা তাঁর প্রথম ভাষণর সেই প্রথম ভাষণে। দ্রৌপদী মুর্মু আশার ও প্রত্যয়ের কথা বললেন। বললেন, দেশ হিসেবে ভারত অচিরেই তার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পূরণ করবে। বাবা সাহেব অম্বেদকর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা-ও সত্য হবে। দ্রৌপদী আরও বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই ভারত এক নতুন দেশ, বিশেষত একটা ব্র্যান্ড নিউ নেশন হিসেবে যেন উঠে আসছে। তার অর্থনীতি দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই অর্থনীতি দেশের কৃষক ও শ্রমিক সমাজকে নানা ভাবে শক্তি দেবে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে দেশের এই অগ্রগতি খুবই আনন্দের। তিনি কোভিড যোদ্ধা ও বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ দেন। আগামী দিনের নতুন ভারতে তিনি বিশেষ তিনটি বর্গকে চিহ্নিত করেন। তিনি মনে করেন কৃষক সম্প্রদায়, শিশু এবং নারীরা আগামী দিনের ভারতে বিশেষ জায়গা নেবে। এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বিশেষ ভাষণ দিলেন এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি জন্মেছেন ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরে। সেই হিসেবে এটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে দেশ জুড়ে বছর ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ইসরোর তরফে স্পেসের ক্ষেত্রে নানা নয়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ বছরটি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ যেমন, তেমনই এটি অরবিন্দের ১৫০ তম জন্মবর্ষও। দেশ জুড়ে তাই নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো হবে ঋষি অরবিন্দকে। সংস্কৃতি মন্ত্রক ঠিক করেছে অগস্টের ১২ থেকে ১৫ পর্যন্ত দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৭৫টি কারাগারে আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে বিপ্লবী, দার্শনিক, কবি ও অধ্যাত্মপুরুষ শ্রীঅরবিন্দকে। সেই হিসেবে, এই প্রোগ্রাম ইতিমধ্যেই চলছে।
দেশের ৭৫টি সংশোধনাগারে এই প্রকল্প সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য দেশের বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে ভারত সরকারের এই পরিকল্পনার শরিক হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন, পতঞ্জলি, আর্ট অফ লিভিং, ইশা ফাউন্ডেশন ও সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশন। তারা ২৩টি রাজ্যে ধ্যান ও যোগ বিষয়ক পরামর্শ ও উপদেশদানের পাশাপাশি অরবিন্দের আধ্যাত্মিক ভাবনার সঙ্গেও কয়েদিদের বিশেষ ভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে।