নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্যে বলে দিয়েছিলেন, দল সংকটে কারণ নেতারা অভিমান করে বেরিয়ে যান। কোনও রাখঢাক না রেখে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সলমন খুরশিদের এ হেন মন্তব্যে যারপরনাই অস্বস্তি বাড়িয়েছে কংগ্রেসকে। তার সঙ্গে এ-ও জল্পনা তৈরি হয়, এমন দুঃসময়ের দিনে তিনিও কি ‘হাত’ ছাড়ছেন? বুধবার সলমনের স্পষ্ট জবাব, না দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন সলমন খুরশিদ বলেন, “দল এই মুহূর্তে যেখানে দাঁড়িয়ে, তা আমার কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং উদ্বেগের।” কিন্তু কংগ্রেস ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। তাঁর কথায়, “আমরা তেমন ব্যক্তি নই, যাঁরা দল থেকে সবকিছু সুবিধা পান এবং দুঃসময়ে দলের পাশে না থেকে বেরিয়ে যান।”


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: বিজয়ায় দিল্লিতে রাবণ দহন করলেন মোদী, দিলেন নারী-সম্মানের বার্তা 


উল্লেখ্য, অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের ২৮৮ এবং হরিয়ানার ৯০ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু পছন্দমতো টিকিট বা নেতৃত্ব না মেলায় দলের কাজ নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শীর্ষ নেতারা। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা সঞ্জয় নিরুপম ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দল ছাড়ার। হরিয়ানার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অন্তর্কলহের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছেন অশোক তানওয়ার। নির্বাচনী প্রচারও বয়কট করছেন অনেক তারকা নেতারা।


গতকাল সলমন খুরশিদ জানান, দল যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন। এমনকি কংগ্রের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বিগ্ন তিনি। এ দিন খুরশিদ বলেন, লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর অভিমানে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখারও সুযোগ হয়নি দলের। দলের মধ্যে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে সনিয়া গান্ধীর পক্ষে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন সলমন খুরশিদ।