নিজস্ব প্রতিবেদন: শিখ বিরোধী হিংসা নিয়ে স্যাম পিত্রোদার মন্তব্যে জোর সরগরম রাজনৈতিক মহলে। দিল্লি ও পঞ্জাবে ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে পিত্রোদার মন্তব্যকে হাতিয়ার বানিয়ে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। ড্যামেজ কন্ট্রোলে কার্পন্য রাখছে না কংগ্রেসও। পিত্রোদার মন্তব্যকে সমর্থন করছে না বলে বার্তা দেয় কংগ্রেস। এখানেই থেমে থাকেনি। শেষমেশ রাতে ময়দানে নামলেন খোদ রাহুল গান্ধীও। পিত্রোদার ক্ষমা চাওয়ারও দাবি করেন তিনি। এ দিকে পিত্রোদার সমালোচনা করেও এক ধাপ এগিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর প্রশ্ন তোলেন, ১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসার ঘটনার সঙ্গে রাজীব গান্ধীকে জড়ানো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভুল হয়েছে। যদি তাঁকেই কেউ গোধরা সঙ্গে জড়ায়? উল্লেখ্য, গুজরাটে মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০২ সালে সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ড এবং পরবর্তী হিংসায় প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অমরিন্দর বলেন, ১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসা দুঃখজনক ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা বিচার পাননি। এই হিংসায় যে সব নেতারা জড়িত, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তাঁর কথায়, দাঙ্গায় ব্যক্তিগতভাবে কোনও নেতা জড়িত থাকলে, খোদ রাজীব গান্ধী বা কংগ্রেসকে জড়ানো উচিত নয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর।


আরও পড়ুন- গুজরাটের কৃষকদের বড় জয়, সব মামলা প্রত্যাহার পেপসির


উল্লেখ্য, পিত্রোদা পরে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তাঁর সাফাই, হিন্দিতে দুর্বল হওয়ার কারণে সঠিকভাবে বলতে পারেননি। তিনি বলতে চেয়েছিলেন, হুয়া তো ‘বুরা’ হুয়া। শিখ বিরোধী হিংসা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, কংগ্রেসের অনাবাসী ভারতীয় সেলের প্রধান বলেছিলেন, ১৯৮৪-র হিংসা হয়েছে তো হয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে কী হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত।


পিত্রোদার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তত্ক্ষণাত্ হাতিয়ার বানিয়ে ফেলে বিজেপি। খোদ নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী জনসভা থেকে বলেন, ওই তিন শব্দই (হুয়া তো হুয়া) প্রমাণ করে কংগ্রেসের অহংকার ও ঔদ্ধত্য। পিত্রোদার ইস্তফা দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি।