নিজস্ব প্রতিবেদন:শক্তি বাড়িতে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘তৌকতাই’ (Cyclone Tauktae)। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে ‘তৌকতাই’ (Cyclone Tauktae)। আগামী মঙ্গলবার এটি গুজরাত উপকূলে প্রবল গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে। তবে প্রশ্ন হল, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম‘তৌকতাই’ (Cyclone Tauktae) কেন? কে রাখল এই অদ্ভূত নাম?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Covid-19 থেকে সুস্থ হয়েও প্রয়াত কংগ্রেস সাংসদ Rajeev Satav


আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকার দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। সেইমতো, ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (WMO/ESCAP) সংগঠনটি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে উৎপন্ন হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্য-বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-সহ ১৩টি দেশ। ‘তৌকতাই’ (Cyclone Tauktae) নামটি মায়ানমারের দেওয়া। যার মানে উচ্চস্বর যুক্ত টিকটিকি জাতীয় প্রাণী (highly vocal lizard)। মায়ানমারে যা ‘গেকো’ (Gecko) নামে পরিচিত।


আরও পড়ুন: আরও এল ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন, ভারতে আগামী সপ্তাহ থেকেই টিকাকরণের প্রত্যাশা


‘তৌকতাই’ (Cyclone Tauktae)-এর জন্য ইতিমধ্যে গোয়া, গুজরাত, মুম্বই-সহ পশ্চিম উপকূলে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিপদ রয়েছে এমন জায়গা থেকে মানুষজনকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে আসার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় 'তৌকতাই' (Cyclone Tauktae)-এর কারণে কেরলে অতিভারী বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, উপড়ে গিয়েছে একাধিক গাছ। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরলের নয় জেলাতেও। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ গোয়া থেকে মাত্র ২২০ কিমি দূরে, মুম্বই থেকে ৫৯০ কিমি দূরে ও গুজরাটের উপকূল থেকে ৮২০ কিমি দূরে অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ গুজরাটের পোরবন্দর ও নালিয়ায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।