উত্তর প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ওয়েব ডেস্ক: ট্রেন বেলাইন। অথচ মৃতের সংখ্যা শতাধিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,মান্ধাতা আমলের কোচ ছিল বলেই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বেড়েছে। অত্যাধুনিক LHB কোচ হলে দুর্ঘটনায় প্রাণ যেত না এত মানুষের।   

২০১৪ থেকে ২০১৬। পরিসংখ্যান বলছে নয় নয় করে পঞ্চাশেরও বেশি রেলদুর্ঘটনা হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ রেল দুর্ঘটনাই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে। কিন্তু কোনও দুর্ঘটনারই মৃতের সংখ্যা একশো তো দূরের কথা পঞ্চাশ ছোঁয়নি।

৪ মে, ২০১৪, রায়গড়- লাইনচ্যুত যাত্রীবাহী ট্রেন, লাইনচ্যুত ১২ কামরা, মৃত ৮, জখম ১২৪।

২৫ জুন, ২০১৪, লাইনচ্যুত দিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত ১২ কামরা
মৃত ৪, জখম ৮।

২৫ মে, ২০১৫, সিরাথু, উত্তরপ্রদেশ
মুরি এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, মৃত ৪, জখম কমপক্ষে ১২।

আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশের  পুখারিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহতা, মৃতের সংখ্যা দেখে চোখ কপালে উঠছে বিশেষজ্ঞদের। প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মান্ধাতা আমলের কোচ হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বেড়েছে। লাফ দিয়ে দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আধুনিক LHB কোচ হলেই দুর্ঘটনা এত মারাত্মক হত না। প্রাণ যেত না এত মানুষের।

LHB কোচের সুবিধা-

প্রথমত-ট্রেন লাইনচ্যুত হলেও ,LHB কোচ হলে বগিগুলো উল্টোয় না।

দ্বিতীয়ত-LHB কোচের ক্ষেত্রে দুটি কোচের গঠন এমন হয় যাতে দুর্ঘটনা ঘটলে একটি কোচ অন্য কোচের ওপর ওঠে না  

তৃতীয়ত-LHB কোচের আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা অনেক বেশি, কারণ তেমনই শক্তিশালী সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয় কোচ।

চতুর্থত-LHB কোচে থাকে রাবার প্যাডিং। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলেও ট্রেনে সরাসরি আঘাত লাগে না, প্রাথমিক আঘাতের অভিঘাত সহ্য করে নেয় রাবার প্যাড।