ওয়েব ডেস্ক : EVM কারচুপি নিয়ে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগের মধ্যেই শুক্রবার নয়া সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। ভবিষ্যত দেশের প্রতিটি নির্বাচনে প্রতিটি বুথে ভোটগ্রহণ হবে VVPAT মেশিন যুক্ত EVM-এ। টার্গেট ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের কাছে VVPAT মেশিন কেনার জন্য দরবার করে কমিশন। কমিশনের সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ১৬ লাখ ১৫ হাজার VVPAT মেশিন কেনার জন্য ৩১৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখন প্রশ্ন, VVPAT মেশিন কী? কীভাবে কাজ করে?


VVPAT-এর ফুল ফর্ম হল 'ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইল'। আপনি EVM-এ যে ভোট দেওয়ার পর, VVPAT মেশিনের মাধ্যমে একটি স্লিপ বেরিয়ে আসবে। অর্থাত্ EVM যন্ত্রে আপনার ভোটটি যে সঠিকভাবে রেকর্ড হয়েছে, এটা তার প্রমাণ।


পেপার স্লিপে লেখা থাকবে যে রাজনৈতিক দলের পক্ষে আপনি আপনার মূল্যবান ভোটটি দিয়েছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ। স্লিপে থাকবে প্রার্থীর নাম, সিরিয়াল নাম্বার এবং প্রতীক চিহ্নও। আপনি EVM যন্ত্রে আপনার পছন্দের বাটন প্রেস করার, ৭ সেকেন্ডের মধ্যে স্লিপটি বেরিয়ে আসবে। তারপর স্লিপটি নিজে থেকেই কেটে, মেশিনের সঙ্গে যুক্ত নির্দিষ্ট মুখবন্ধ বাক্সের ভেতর পড়ে যাবে।


নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, "এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। এরফলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আসবে।"


আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কারনান