নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩১ অগস্ট পর্যন্ত 'লোন মোরাটিয়ামে'র সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৷ যে গ্রাহকরা লকডাউন-পর্বে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বা যাঁদের উপার্জন কমেছে, ঋণ পরিশোধের জন্য তাঁদের ২ বছরের সময়সীমা দিচ্ছে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে পার্সোনাল লোন এবং ক্রেডিট কার্ডের চাহিদাই সব চেয়ে বেশি ছিল৷ কিন্তু লকডাউন এবং আর্থিক মন্দার কারণে সেই চাহিদা ক্রমশ কমছে৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবসায় কিছু শতাংশ কম বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে৷ যদিও গত বছরে এই সময়েই এ ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল৷ ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বার থেকে সতর্ক থাকবে সব ব্যাঙ্ক৷


২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে মার্চ থেকে অগস্টের কিস্তিতে সুদের উপর সুদের টাকা ৫ নভেম্বরের মধ্যে ফেরাতে বাধ্য ঋণদাতারা, এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অবশ্য এই সুদের হিসেব নিয়ে একটু ধন্দ তৈরি হয়েছিল। যদিও অর্থমন্ত্রক সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে বলেই খবর সংশ্লিষ্ট মহলের। 


বলা হয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি শোধ না-হওয়া ধারের ভিত্তিতেই ১ মার্চ থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত, এই ১৮৪ দিনের সুদ হিসেব হবে। পরে সুদের উপর সুদ (কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট) থেকে সাধারণ সুদ (সিম্পল ইন্টারেস্ট) বাদ দিয়ে যা দাঁড়াবে, সেই টাকা ঋণগ্রহীতার ঋণ অ্যাকাউন্টে জমা দেবে ঋণদাতা ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ছ'মাস স্থগিত থাকা কিস্তিতে (মোরাটোরিয়াম) এই সুবিধা তো মিলবেই। যাঁরা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে মোরাটোরিয়ামের সুবিধা নেননি, একই সুবিধা পাবেন তাঁরাও।


আরও পড়ুন: করোনার টিকা আসছে! রাজ্যগুলিকে তড়িঘড়ি প্রস্তুত থাকার নির্দেশিকা কেন্দ্রের