ওয়েব ডেস্ক : PPF বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। অনেকটা EPF-এর মতই আরেকটি প্রভিডেন্ট ফান্ড। আপনি যে সংস্থাতেই চাকরি করুন না কেন, সরকারি কি বেসরকারি, সেই সংস্থা আপনার মাস-মাইনে থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ কেটে PF-এর ঘরে জমা দিতে বাধ্য। আর PPF-এ টাকা রাখবেন আপনি নিজে। ভবিষ্যতের সুরক্ষায় একটি স্থায়ী আমানত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, PPF অ্যাকাউন্ট সম্বন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) বয়সসীমার যোগ্যতামান- যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক লোক নিজের নামে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। একজন নাবালকের হয়েও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন তিনি। যে কোনও শাখায় এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তবে কখনওই জয়েন্ট ফ্যামিলির নামে, যেমন রায় পরিবার, এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।


২) লগ্নির উর্ধ্বসীমা- বছরে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা আপনি জমাতে পারবেন। ২০১৪ সাল থেকে এই নিয়ম লাগু হয়। আপনি সর্বোচ্চ ১২টি মাসিক কিস্তিতেও টাকা জমাতে পারেন, আবার বছরের কোনও একটি নির্দিষ্ট সময় একসঙ্গে বিশাল পরিমাণেও টাকা জমাতে পারেন।


৩) মেয়াদ- প্রাথমিক মেয়াদ ১৫ বছর। কেউ চাইলে তারপরেও মেয়াদ বাড়ানো যায় ১ বছর কিংবা ৫ বছর করে।


৪) সুদের হার- বার্ষিক সুদের হার ৮.১০ শতাংশ (১ এপ্রিল ২০১৬ থেকে)। সুদ বাড়ে চক্রবৃদ্ধি হারে। প্রতিবছর বার্ষিক সুদের টাকা ৩১ মার্চ দেওয়া হয়।


৫) লোন ও টাকা তোলা- অ্যাকাউন্টটির বয়স ও ব্যালান্সের উপর ভিত্তি করে লোন দেওয়া হয়। প্রয়োজনে টাকাও তোলা যায়।


৬) আয়কর ছাড়- আয়কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে। সুদ বাবদ প্রাপ্ত টাকা আয়করের আওতায় পড়ে না।


৭) নমিনি (Nominee)- একজন বা একাধিকের নামে আপনি নমিনেশন করতে পারেন। তবে নমিনিদের নাম অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ই আপনাকে সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে।


৮) অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার- আপনি চাইলে আপনার PF অ্যাকাউন্টটি অন্য যেকোনও শাখায়, যেকোনও ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিসে ট্রান্সফার করতে পারেন।


 


Source : SBI