নিজস্ব প্রতিবেদন: কোন কোন মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই ৷  সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের এক সংস্থা জানাল, শুধু হাঁচি, কাশি, ছোঁয়া নয়, এয়ারকন্ডিশন মেশিনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই মারণ রোগ।
মূলত এর ওপর একটি পরীক্ষা করেছিল ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিসিজ। তিনজন করোনা আক্রান্তকে রাখা হয়েছিল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এমন একটি ঘরের এয়ার ডাক্টের মধ্যে মিলেছে রোগের জীবাণু। এই ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ে। তা বলে এই গরমে এসি চালালে বিপদ বাড়বে? একটি সুখবর দিয়েছে কেন্দ্র। করোনা ভাইরাস রুখতে ঠিক কত তাপমাত্রায় এসি চালাতে হবে, তা জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
জানানো হয়েছে, ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ কম হয়। ঘরের তাপমাত্রা এটাই রাখতে বলছে কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে একটি অ্যাডভাইজরি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে ৷  বলা হচ্ছে, এসির আপেক্ষিক আর্দ্রতা  ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে।
এই গাইডলাইনে কী বলা হয়েছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর পর ঘরের জানলা একটু খোলা রাখতে হবে।
এরফলে ঘরের ঠান্ডা হাওয়ার সার্কুলেশনের সঙ্গে বাইরের হাওয়ায় একটু  ঘরে ঢুকবে।
ভিতরের হাওয়ায় কিছুটা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
ঘরের আপেক্ষিক আর্দ্রতা কখনই ৪০ শতাংশের নীচে নামতে দেওয়া যাবে না।
গাউডলাইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে আরও একটি বিষয
লকডাউনের ফলে সব অফিস বন্ধ রয়েছে। তাই সেগুলি খোলার পর এয়ার সার্কুলেশন ভালোভাবে করতে হবে
বদ্ধ জায়গায় ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্রুত কাজ করে
তাই অফিস কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার পর ঘরের দরজা জানলা খুলে এসি ফ্যান চালিয়ে এয়ার সার্কুলেশন ভালোভাবে করে নিতে হবে
বলা হচ্ছে, তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার সঙ্গে সংক্রমণের একটি বিস্তর যোগাযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, এই অ্যাডভাইজরিটি তৈরি করতে একটি টাস্ক ফোর্স কাজ করেছে। কোভিড ১৯ রুখতে মূলত কত তাপমাত্রা প্রয়োজন, তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বিশেষ্ণরা রয়েছেন এই কমিটিতে।