নিজস্ব প্রতিবেদন: শতকের পর শতক ধরে চলে আসছে কুপ্রথা। বিয়ের আগে মেয়ের দিতে হয় 'সতীত্বে'র পরীক্ষা। সতীচ্ছদ অক্ষত না থাকলে গঞ্জনা তো রয়েইছে, জোটে মারধরও। মহারাষ্ট্রের কনজরভাট সম্প্রদায়ের এমন কুপ্রথার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছে নবীন প্রজন্ম। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে চলছে সচেতনতার পাঠ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত রবিবার বিয়ের কথা ছিল ১৫ বছরের রুমকির (নাম পরিবর্তিত)। তবে 'সতীত্বে'র পরীক্ষায় 'উত্তীর্ণ' হতে পারেনি সে। তাই 'শাস্তি' হিসাবে গাছে বেঁধে মারধরের নিদান দেন গ্রামের মুরুব্বিরা। তাঁর মা-বাবার আর্তির পর বরপক্ষ বিবাহে রাজি হয়। তবে 'জরিমানা' হিসেবে মোটা টাকা দিতে হয় রুমকির অভিভাবকদের। 


আরও পড়ুন- করমুক্ত ২০ লক্ষের গ্র্যাচুইটি, আসছে বিল


কয়েক শতক ধরে এই সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ের আগে এই পরীক্ষা দিতে হয়। বাধ্য হয়েই ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেন অভিভাবকরা। কারণ, কম বয়সে 'সতীচ্ছদ' অক্ষত থাকার সম্ভবনা বেশি বলে মনে করা হয়। বিয়ের আগে বিছানায় যোনির পর্দা অক্ষত থাকার পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই কুপ্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে মাস দুই আগে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা টামাইচেকর ও সিদ্ধান্ত ইন্দ্রেকর। পুণের কলেজ পড়ুয়া সিদ্ধান্তের কথায়,''সম্প্রদায়ের নিজস্ব ব্যাপার বলে বেশিরভাগ সময়েই দায় এড়িয়ে যায় পুলিস।'' প্রিয়াঙ্কা বলেন,''এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের অবদমিত করে রাখার একটা কুপ্রথা। এর বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন। আমার পরিবার পাশে আছে।''


শুধু আদিবাসী সম্প্রদায় নয়, বরং যোনির পর্দা নিয়ে শিক্ষিত পরিবারগুলিও পুরনো মানসিকতা ছাড়তে পারেনি বলে মত হায়দরাবাদের প্লাস্টিক সার্জেন ভবানী প্রসাদের। তিনি বলেন, ''মেয়ের যোনির পর্দা কেটে গেলে অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নেন।'' যৌন সংগমের উপরে 'সতীচ্ছদ' অক্ষত থাকা নির্ভর করে না। ভবানী প্রসাদের কথায়, ''সন্তান হওয়ার পরও সতীচ্ছদ অক্ষত থাকতে পারে।''