ওয়েব ডেস্ক: গোপনীয়তার দফারফা! এবার নাগরিকদের মেসেজ পড়তে পারবে সরকার। শুধু তাই নয়, নব্বই দিন পর্যন্ত ডিলিট করা যাবে না এ ধরনের অ্যাপের কোনও মেসেজ। এমনই নীতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত এই নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন এই ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসির আওতায় পড়বে না বলে জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আপনার বন্ধুকে কি প্রায়ই আন্তরিক মেসেজ পাঠান? সঙ্গীকে ক্ষণে ক্ষণে একান্ত বার্তা পাঠাতে পছন্দ করেন? কিংবা ভালবাসার প্রস্তাব সহকর্মীকে? অথবা মোবাইল অ্যাপের মেসেজিংয়েই কি সেরে ফেলে খুব গোপনীয় বিজনেস ডিল? পরে এ সব বার্তাই মুছে দেন? তাহলে এবার সাবধান! কড়া হচ্ছে সরকার। গোপন বার্তায় নজরদারি চালাতে নয়া নীতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। কী রয়েছে প্রস্তাবিত নয়া নীতিতে?  


ব্যক্তিগত বার্তায় সরকারি নজরদারি। তবে হোয়াটস অ্যাপ, হ্যাঙ আউট, স্ন্যাপ চ্যাট, ফেসবুক, টুইটার মেসেজ পড়তে পারবে না সরকার। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং বা কোনও পেমেন্ট গেটওয়ে অথবা যেকোনও ই-কমার্স ও যেইসব কাজে পাসওয়ার্ড লাগে এমন মেসেজকেও এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে বাধ্যতামূলকভাবে ৯০ দিন ডিলিট করা যাবে না মেসেজই। চাইলে মেসেজ পড়তে দিতে হবে নিরাপত্তা এজেন্সিকে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে মেসেজ ডিলিট করে দিলে আইনি ব্যবস্থা, হতে পারে জেলও।


এই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে সরকারি, বেসরকারি সব সংস্থাকেই। সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ নাগরিক ইতিমধ্যেই নয়া জাতীয় সাঙ্কেতিক লিখন নীতি (ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি) খসড়া পেশ করেছে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-এ ৮৪ (এ) ধারার আওতায় নতুন জাতীয় সাঙ্কেতিক লিখন নীতি (ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি) আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নয়া নীতি নিয়ে সব নাগরিকের মতামত চাওয়া হয়েছে। ১৬ অক্টোবর ২০১৫-র মধ্যে মতামত জানাতে হবে।


নিরাপত্তার নামে চালু করতে চাওয়া প্রস্তাবিত এই নীতি কি নাগরিকদের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ নয়? ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে এধরনের প্রশ্ন। সরকারের এই উদ্যোগ ঘিরে তৈরি হতে চলেছে বিতর্কের ঝড়।