জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী ১৫ আগস্ট ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত। এই জাতীয় ছুটি দেশের প্রতিটি নাগরিককে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং অসংখ্য আত্মত্যাগের পরেই ভারতে এসেছিল স্বাধীনতা। এর পরেই ভারত ২০০ বছরের দীর্ঘ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট তারিখে, ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারত ত্যাগ করে কিন্তু দেশকে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত করে দেয় তারা। পৃথিবীর বুকে নিজেদের যাত্রা শুরু করে ভারত এবং পাকিস্তান। যদিও, ভারত ছাড়াও, আরও পাঁচটি দেশ রয়েছে যারা ১৫ অগস্ট দিনটিতে নিজেদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লিচেনস্টাইন


১৯৪০ সাল থেকে লিচেনস্টাইনে জাতীয় দিবস হিসাবে পালিত হয় ১৫ অগস্ট। এই দিনটিতে একটি ঐতিহ্যবাহী আতশবাজির অনুষ্ঠানও করা হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠান সেই দিন সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান সময় রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের ১৫ অগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আইন করে এই দিনটিকে একটি জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এর পিছনে দুটি কারণ ছিল।প্রথমত, এটি ইতিমধ্যেই ব্যাংকে একটি ছুটির দিন ছিল এবং দ্বিতীয়, ১৯৪০ সালে ক্ষমতাসীন যুবরাজ, প্রিন্স দ্বিতীয় ফ্রাঞ্জ জোসের জন্মদিন ছিল ১৬ আগস্ট। এমনকি তার মৃত্যুর পরেও ১৯৮৯ সালে এই ঐতিহ্য অব্যাহত ছিল। বিশাল উদযাপনে হাজার হাজার লিচেনস্টাইনের নাগরিক অংশগ্রহণ করেন, তারপরে ভাদুজ ক্যাসেলের সামনের লনে অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে। এখানে যুবরাজ এবং সংসদের রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত থাকে। নাগরিকদের দুর্গের বাগানে সংবর্ধনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় কারণ একমাত্র এই দিন বাগানগুলি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।


বাহারিন


বাহারিন ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট, ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এটিই প্রথম গালফ দেশ যেখানে তেল পাওয়া যায় এবং রিফাইনারি তৈরি হয় ১৯৩১ সালে। যদিও ১৯১৩ সালে ব্রিটেন এবং অটোমান সরকার দেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তবুও এই দেশ ব্রিটিশ শাসনের অধীনেই থেকে যায়। ১৯৭১ সালে, বাহারিন তার স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ব্রিটিশদের সঙ্গে একটি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৪ আগস্টকে স্বাধীনতার প্রকৃত তারিখ হলে ১৫ আগস্টকেই দেশ তার স্বাধীনতা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।


আরও পড়ুন: Rakesh Jhunjhunwala: চলে গেলেন বিগ বুল, কী হবে তাঁর শেয়ারের?


রিপাবলিক অফ কঙ্গো


এই দিনটি 'কঙ্গো জাতীয় দিবস' নামেও পরিচিত। কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ফ্রান্সের শাসনের অধীনে আসার ঠিক ৮০ বছর পরে ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। এটি ১৯৬৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত একটি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী রাষ্ট্র ছিল এবং ১৯৯২ সাল থেকে বহুদলীয় নির্বাচন হয়েছে এই দেশে।


দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়া 


দিনটিকে বলা হয় গুয়াংবকেওল (Gwangbokjeol) বলা হয়। এর অর্থ আলোর পুনরুদ্ধারের সময়। ১৯৪৫ সালে দীর্ঘ ৩৫ বছরের জাপানি উপনিবেশ থেকে কোরিয়ার স্বাধীনতাকে চিহ্নিত করে এই দিন। এটি উভয় দেশের পালিত একমাত্র সাধারণ সরকারি ছুটি এবং এটি কোরিয়ার জাতীয় মুক্তি দিবস হিসাবেও পরিচিত৷ এই দিনে, ইম্পেরিয়াল জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে। তিন বছর পরে, কোরিয়া দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। সোভিয়েত-সমর্থিত উত্তর কোরিয়া এবং মার্কিন-সমর্থিত দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভক্ত হয় দেশ।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)