নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘূর্ণিঝড় আমফানের স্মৃতি এখনও টাটকা বঙ্গবাসীর মনে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতির ক্ষত এখনও রয়েছে৷ আমফানের বর্ষপূর্তির সময়েই ফের হাজির হল অতিশক্তিশালী সাইক্লোন ইয়াস (YAAS)। এবার যার লক্ষ্য ওড়িশা ও বাংলা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে আমফানের যেমন অভিমুখ ছিল কলকাতাগামী, স্থলভাগে আসার রাস্তায় ইয়াসের গতিপথ অবশ্য বদলেছে। উত্তর এবং উত্তর পশ্চিমে এর গন্তব্য থাকায় ওড়িশার বালাসোরেই প্রবলবেগে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে জলভাগ থেকে শক্তি সঞ্চয় করেই দাপটের সঙ্গে স্থলভগে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। 


এখন প্রশ্ন হল কেন বঙ্গোপসাগরই আতুরঘর হয়ে উঠছে ঘূর্ণিঝড়ের? ভূতত্ত্ববিদদের মতে গ্রীষ্মপ্রধান অক্ষরেখার সাগর কিংবা মহাসাগরে এমনটা দেখা যায়। তার প্রধান কারণ বাতাসে বায়ুর চাপ কম থাকায়, হাওয়ার দাপট এবং বৃষ্টিপাতের আধিক্যে। 


১৯৭০ সাল থেকে ভারতের এই প্রান্ত ১৭০টি ঝড় দেখেছে৷ যদিও বিশ্বের নিরিখে তা চতুর্থ। সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৫৭৪), ফিলিপিন্স ( ৩৩০) এবং চিন (৩০৫)।


আরও পড়ুন: Cyclone Yaas: দিঘায় বিরাট জলোচ্ছ্বাস, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ছবি


 ১৮২১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ভারতের উপকূলীয় এলাকাগুলি গড়ে প্রতি বছর একটি করে সাইক্লোনের মোকাবিলা করে গিয়েছে। এদের মধ্যে বঙ্গোপসাগরেই সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। আরব সাগরে তুলনায় অনেক, অনেক কম। সাইক্লোন তৈরি এবং তার শক্তিবৃদ্ধিতে বঙ্গোপসাগরকে 'অ্যাক্টিভ বেসিন' হিসেবেই বর্ণনা করেছেন ভূতাত্ত্বিকরা। 


গত ৪ বছরে ১২টি সাইক্লোন দেখেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকাগুলি৷ তবে উত্তর ভারত মহাসাগরেও সাইক্লোন তৈরির হার বেড়েছে আগের থেকে। ভারতের ঘূর্ণিঝড় ইতিহাসে ভয়ংকর নাম- 'ভোলা'৷ পাঁচ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল এই ঝড়। এছাড়া নার্গিস, হুদহুদ, আয়লা এবং সম্প্রতি আমফান তো রয়েইছে তালিকায়।


আরও পড়ুন: Breaking News: সাড়ে ৯টায় আছড়ে পড়ল Yaas, নর্থ ধামড়ায় ল্যান্ডফল