প্রেসিডেন্ট? কেন প্রধানমন্ত্রী নয়? স্বপ্নের উড়ান দিতে পড়ুয়াদের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
এ দিন চন্দ্রযান-২ এর সফল অভিযানের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত হয়েছিল পড়ুয়ারাও। তাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন প্রধানমন্ত্রী। জীবনে সাফল্য পেতে পড়ুয়াদের কিছু পরামর্শ দেন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। প্রয়োগ আর প্রচেষ্টা থাকে। তার মধ্য দিয়েই শুধু শিক্ষা মেলে। এভাবেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার রাত ১.৩৮ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমের অবতরণা শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চন্দ্রপৃষ্ঠে থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরত্বে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ দিন চন্দ্রযান-২ এর সফল অভিযানের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত হয়েছিল পড়ুয়ারাও। তাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন প্রধানমন্ত্রী। জীবনে সাফল্য পেতে পড়ুয়াদের কিছু পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তারাও উচ্ছ্বসিত হয়ে মনের কথা জানায়। বড় হয়ে কী হতে চায় সে কথাও বলে পড়ুয়ারা। এমনই এক পড়ুয়া প্রধামন্ত্রীকে বলে, সে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চায়। তার স্বপ্নের কথা শুনে ভীষণ খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। তবে, নরেন্দ্র মোদীও কৌতুহলবশত প্রশ্ন করেন, প্রেসিডেন্ট কেন? প্রধানমন্ত্রী নয় কেন?
আরও পড়ুন- চিকচিক করে উঠল চোখ, আবেগপ্রবণ ইসরো প্রধানকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা মোদীর
বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, সাহস হারাবেন না। জীবনে উত্থান-পতন থাকেই। ভবিষ্যতে ফের অভিযান করব। আমি আপনাদের পাশে রয়ছি। হিম্মত রাখুন। রাত ২.২০ নাগাদ ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কী হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের? সেটা তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা সম্ভব বলে মনে করছেন শিবন।