স্বামীর শেষকৃত্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই সন্তানের জন্ম দিলেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী
রবিবার সকালেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির সুন্দেরবানি সেক্টর। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীরা। নজরে আসার পর অনুপ্রবেশ রুখতে রুখে দাঁড়ান কর্তব্যরত জওয়ানরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ত্রীয়ের ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল সোমবার। তাই সেদিনই ফেরার কথা ছিল ল্যান্স নায়েক রঞ্জিত সিংয়ের। সেদিনই ফিরলেন বটে তবে কফিনবন্দি হয়ে। এলেন ‘শহিদ’ উপাধি নিয়ে। তাঁর শেষকৃত্যের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন তাঁর স্ত্রী।
রবিবার সকালেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির সুন্দেরবানি সেক্টর। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীরা। নজরে আসার পর অনুপ্রবেশ রুখতে রুখে দাঁড়ান কর্তব্যরত জওয়ানরা। নিকেশ হয় দুই জঙ্গি। কিন্তু সেই লড়াইয়ে বুলেট এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় রঞ্জিত সিংয়ের বুকও। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। শহিদ হন আরও তিন সেনা জওয়ান। সোমবার কফিন বন্দি রঞ্জিতের দেহ বাড়িতে পৌঁছয়। মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য ছিল। সোমবার রাতেই প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করেন তাঁর স্ত্রী শিম্পু দেবী।
তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন শিম্পু দেবী। হাসপাতালের বেডে শুয়ে শিম্পু দেবী জানান, “আমি আজ যে সন্তানের জন্ম দিয়েছি, তা জাতির কন্যা। আমার স্বপ্ন সেও বড় হয়ে একজন সেনা আধিকারিক হবে।” প্রসবের পর স্বামীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি।
শিম্পু দেবীর ইচ্ছা, তাঁর কন্যাসন্তানের দায়িত্ব সেনার হাতে তুলে দিতে। তাতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে সঠিক অনুশীলন পায় সে।