লোকসভা ভোটের আগে সংসদে কৌশলে রাম মন্দির নির্মাণের বিল আনছে বিজেপি?
লোকসভা নির্বাচনের আগেই অযোধ্যা জমি মামলার নিষ্পত্তির আশায় জল ঢেলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদের শীত অধিবেশনেই আসতে পারে রাম মন্দির বিল। রাজ্যসভার সাংসদ রাকেশ সিনহাকে দিয়ে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনাতে পারে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। মোদী জমানায় এখনও কেন অযোধ্যায় মন্দির হল না, এ প্রশ্ন তুলে সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে শিবসেনা।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই অযোধ্যা জমি মামলার নিষ্পত্তির আশায় জল ঢেলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাম মন্দিরের জন্য অর্ডিন্যান্সের দাবিতে সুর চড়াচ্ছে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন শাখা সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে এক ঢিলে অনেক পাখি মারার কৌশল নিচ্ছে বিজেপি।
সামনেই শীত অধিবেশন। সেই সময় রাজ্যসভার সাংসদ তথা আরএসএস নেতা রাকেশসিনহাকে দিয়ে সংসদে রাম মন্দির বিল আনার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। রাকেশ নিজেও বিল পেশের ইঙ্গিত দিয়েছেন। টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব, লালুপ্রসাদ, মায়াবতী, সীতারাম ইয়েচুরিরা কি তাঁর প্রাইভেট বিল সমর্থন করবেন? এবার ওনাদের উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে।
গোটা ঘটনায় বিজেপির কৌশলই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দিরের হাওয়া তুলতে চায় বিজেপি। রাম মন্দির নিয়ে সংসদে প্রাইভেট বিল এলে সরাসরি সরকারের দিকে আঙুল তোলা কঠিন
হবে। একইসঙ্গে প্রাইভেট বিলে, রাম মন্দির তৈরিতে বিজেপির যে চেষ্টা আছে তা প্রমাণ হবে।
আবার বিল নিয়ে সংসদে আলোচনা হলে বিরোধীদের অবস্থানও স্পষ্ট হয়ে যাবে। রাম মন্দির বিলে সংসদের বিতর্ককে সামনে রেখে লোকসভা ভোটে রাজ্যওয়াড়ি প্রচারের পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। বিজেপির এই কৌশলের সমালোচনা করে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার মন্তব্য, বিজেপি ভাবছে ভগবান রাম তাদের লোকসভা ভোটে জিতিয়ে দেবেন। তা হবে না। মানুষ ভোট দেবেন। ভগবান রাম বা আল্লা কেউই ভোট দেবেন না।
রাম মন্দির ইস্যুতে মোদী সরকারকে চাপে রাখতে মাঠে নেমে পড়েছে শিবসেনা। মন্দিরের দাবিতে পঁচিশে নভেম্বর অযোধ্যা যাচ্ছেন দলের নেতা উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর মন্তব্য, মন্দির ওখানেই তৈরি করব কিন্তু তারিখ বলব না, এটাই বিজেপির নীতি। মোদী জমানায় যদি রাম মন্দির তৈরি না হয় তাহলে বলতে হবে যে এনডিএ-র ডিএনএ-তে ভুল আছে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর অযোধ্যায় মন্দির-মসজিদ তৈরির জন্য প্রথমে অর্ডিন্যান্স এবং পরে আইন আনে কংগ্রেস সরকার। বিরোধিতা করে বিজেপি। সে আইন পরে ঠাণ্ডা ঘরে চলে যায়। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে কি? সেদিকেই নজর গোটা দেশের।
আরও পড়ুন- রাফাল ফাঁসেও প্রতিরক্ষায় বেসরকারি লগ্নির দরজা হাট করল মোদী সরকার