নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষ যা বলছেন তা দেখতে প্রয়োজনে কাশ্মীর যাব। কাশ্মীর নিয়ে হওয়া দুটি মামলার শুনানিতে ওই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফারুক আবদুল্লাকে আদালতে আনা হচ্ছে না কেন, কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট


কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং সমাজকর্মী এণাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় ও অধ্যাপক শান্তা সিনহার করা মামলার শুনানিতে ওই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।



জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর মানুষ চিকত্সার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন মহল। এছাড়াও উঠছে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নও। মামলার শুরুতে অনুরাধা ভাসিনের আইনজীবী ব্রিন্দা গ্রোভারের সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট।


আদালতের মন্তব্য শুনে ব্রিন্দা গ্রোভার বলেন, কাশ্মীরের ইন্টারনেট ও যানবাহন চলছে না। তাই কোনও অভিযোগ নিয়ে আদালতে যাওয়া খুবই দুস্কর।


ব্রিন্দা গ্রোভারের পাশাপাশি কাশ্মীরের শিশু-কিশোরদের আটক করা হচ্ছে বলে আদালতে জানান সমাজকর্মী এণাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর বেআইনিভাবে শিশু কিশোরদের আটক করে রাখা হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়স্কদের ছেড়ে দেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন-রাজীব কুমার নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল সিবিআই


প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, শিশু কিশোরদের আটকের বিষয়টি জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে আবেদন করা উচিত। গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, আটক শিশুদের আইনজীবীরা হাইকোর্টে যেতে পারছেন না।


আইনজীবীর মুখে ওই কথা শুনে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, হাইকোর্টে যাওয়া যদি দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তা একটি গুরুতর বিষয়। আপনাদের হাইকোর্টে যেতে কি কেউ বাধা দিচ্ছে? ওই প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী বলেন, যে ভাবে বিধিনিষেধ চলছে তাতে মানুষ আদালত পর্যন্ত যেতে পারছেন না মানুষ।


প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, মানুষের পক্ষে আদালতে যাওয়া যদি দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তা খুবই গুরুতর বিষয়। আমি নিজে শ্রীনগর যাব। জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যদি অন্য কথা বলেন তাহলে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে আপনাদের।