জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহাকুম্ভ এখনও অনেক দেরী। তার আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদের একটি শাখা। ওই শাখার তরফে সাধু সন্তরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মহাকুম্ভে কোনও অহিন্দুকে খাবারের দোকান খুলতে দেওয়া হবে না। আগামী বছর মকর সংক্রান্তিতে এলাহাবাদে শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ। তার আগেই ওই চেতাবনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দীপাবলিতে সবচেয়ে লম্বা এই রুটে দৌড়বে বন্দে ভারত, জেনে নিন ভাড়া


নিরঞ্জনী আখাড়া গোষ্ঠীর সাধু স্বামী রবীন্দ্র পুরি জানিয়েছেন, প্রয়াগরাজে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ।


পুরি বলেন, সরকারকে এখন ঠিক করতে হবে মহাকুম্ভে কারা খাবার বিক্রি করবেন, কারা মেলায় খাবারের দোকান দেবেন। যদি আবাঞ্জিত লোকজন খাবারের দোকান করেন তাহলে সনাতন ধর্মের লোকজন চুপ করে বলে থাকবেন না। নাগা সাধুরা তাদের শাস্তি দেবেন।


মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে এলাহি ব্যবস্থা করে থাকে উত্তর প্রদেশ সরকার। বিপুল টাকা খরচ করে নিরাপত্তা, যানবাহনের ব্যবস্থা করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এখনওপর্যন্ত তেমন কোনও গোলমালের খবর পাওয়া যায়নি। তবে মেলার আগে থেকেই এবার নতুন জিগির তুলতে শুরু করেছে সাধুসন্তরা।


রবীন্দ্র পুরি আরও বলেন, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মহাকুম্ভে যারা আসবেন তাদের আগে থেকেই চিহ্নিত করা হোক। আমাদের আরও দাবি মুসলিমরা যেন কোনও খাবারের দোকান বা অন্যান্য দোকান খুলতে না পারে। যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠক করে এব্যাপারে দীপাবলির আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


প্রায় একই রকম কথা বলেছেন নির্মোহী আখাড়ার সাধু মোহন্ত রাজেন্দ্র দাস। তিনি বলেন, হিন্দুরা কি ওদের ধর্মীয় স্থানে যায়? তা যদি না হয় তাহলে ওরা কেন হিন্দুদের অনুষ্ঠানে আসবে?



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)