নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানি সেনার হাতে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দিল্লির সেনা হাসপাতালে এখন চিকিত্সা চলছে বায়ুসেনা পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের। তাঁর শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে মানসিক পরীক্ষার ওপরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অকাল বৃষ্টিতে ৫০ শতাংশ আলু নষ্টের আশঙ্কা


বিমান ভেঙে পড়ার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আপাতকালীন অবতরণ করেন অভিনন্দন। এরকম ক্ষেত্রে জোরাল আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বিমান চালকের পিঠের দিকে। তবে ভিডিওতে যেভাবে অভিনন্দনকে সোজা হয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছ তাতে তার আঘাত খুব একটা গুরুতর নয় বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।



প্রাক্তন এয়ার মার্শাল ভি কে ভাটিয়া এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘’ইজেকশনের সময় সাধারণভাবে পাইলটের পিঠ আঘাত লাগে। তবে ভিডিওতে যেরকম দেখা যাচ্ছে তাতে তাকে ফিট বলেই মনে হয়। তাই ‘ডিব্রিফিং’ শেষ হওয়ার পরই বায়ুসেনায় ফিরতে পারেন অভিনন্দন’’।


কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা হবে অভিনন্দনের? এয়ার মার্শাল ভাটিয়া জানিয়েছেন, সাধারণভাবে দেখা হয় ওই ধরনের ঘটনায় কতটা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। জানতে চাওয়া হয় শত্রুপক্ষ তার কাছ থেকে কোনও গোপন তথ্য বের করে নিয়েছে কিনা। এছাড়াও তার ওপরে কোনও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে কিনা। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছে পাক সেনা অফিসারদের সঙ্গে। সাধারণত একে বলা হয়ে ডিব্রিফিং।


আরও পড়ুন-কেদার-মাহির জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারাল টিম ইন্ডিয়া        


উল্লেখ্য পাকিস্তানের মাটিতে নামার পর অভিনন্দনকে প্রবল মারধর করে জনতা। তাদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। জলে ভিজিয়ে দেন তাঁর কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে সেই কাহিনী জানিয়েছেন অভিনন্দন।


দিল্লির সেনা হাসপাতালে চলেছে অভিনন্দনের কুলিং ও ডিব্রিফিং প্রক্রিয়া। আগামী কয়েকদিন ধরে তা চলবে। বায়ুসেনার গোয়েন্দারা তাঁর সঙ্গে বিস্তারিতভাবে কথা বলবেন।