Uttar Pradesh: `এসো, আমরা বিছানায় যাই` ছেলের বউকে যৌনতায় বাধ্য করলেন শাশুড়ি...
Uttar Pradesh: বিয়ের পরে স্বামী নয়, শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি করলেন শাশুড়ি! শাশুড়ি নববিবাহিত বধূর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চান! হ্যাঁ, এ হল ভারতের ভিতরে অন্য দেশ, অন্য ভূখণ্ড। উত্তর প্রদেশ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পণের জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। এ তো চেনা ছবি। এই অত্যাচার ছিলই। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অন্য উপসর্গ। বিয়ের পরে স্বামী নয়, শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি করলেন শাশুড়ি! শাশুড়ি নববিবাহিত বধূর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চান শুনে হতবাক নববধূ। তিনি তা অস্বীকার করতেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। মারধর। শাশুড়ি ছেলের বউয়ের সারা শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। শুধু স্বামী-শাশুড়িই নয়, ননদও অত্যাচার করত বলে অভিযোগ ওই যুবতীর।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে। ওই যুবতী তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হেনস্থা, শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ আনেন। এফআইআরও করেন। তাঁর অভিযোগে তিনি জানান, শাশুড়ি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে জোরাজুরি করতেন। অস্বীকার করতেই তাঁর হাতে ব্লেড চালানো হয়, ফালা ফালা করে দেওয়া হয় তাঁর হাত। তাঁকে সেলাই পর্যন্ত করাতে হয়!
২০২২ সালে গাজিপুর জেলার বাসিন্দা অলোক উপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় আগ্রার ওই যুবতীর। বিয়ের পরে প্রথম কয়েকদিন সব ঠিক থাকলেও, পরে পরেই শুরু হয় স্বামী-শাশুড়ির যৌথ যৌন অত্যাচার। স্বামীও যৌন অত্যাচার করতেন, শাশুড়িও জোরাজুরি করতেন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তিনি শাশুড়ির সঙ্গে শরীরী সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব অস্বীকার করেন। আর তা করতেই বউয়ের হাতে ব্লেড চালান শাশুড়ি। গভীর ক্ষত তৈরি হয়ে যায় তাঁর হাতে।
আরও পড়ুন: High Salary: মাসে ৭ লাখ টাকা বেতন! খরচ করবেন কীভাবে? দিশেহারা দম্পতি চাইলেন পরামর্শ...
যুবতী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তিনি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। স্বামী শিশুটির পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্রতিবেশীরা বুঝিয়ে-সুজিয়ে ফের তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হন। ঘটনার পরে ওই যুবতীকে তাঁর বাপের বাড়ির লোক এসে নিয়ে যান। পরে শ্বশুরবাড়ির তরফে যোগাযোগ করে বলা হয়, তারা মিটমাট করে নিতে রাজি। কিন্তু দেখা যায়, কিছুই মেটেনি। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকায় তরুণীর বাপের বাড়ির লোকজন পুলিসে অভিযোগ জানান।