নিজস্ব প্রতিবেদন- সংসারে চরম দারিদ্র। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। আর্থিক টানাটানির জেরে মনে শান্তি নেই। কীভাবে এই চরম দারিদ্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায়! সেই খোঁজ করতে গিয়ে তিনি এমন কাণ্ড ঘটাবেন কে জানত! গুলনাজ নামের এক মহিলা নিজের স্বামী ও চার বছরের খুন করলেন। প্রথমে ছেলে আনোয়ারকে গলা টিপে খুন করেন তিনি। এর পর মৃত ছেলেকে বাঁচিয়ে তুলতে নিজের স্বামীকে খুন করেন গুলনাজ। এমন হাড়হিম করা ঘটনা উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ সংলগ্ন পিপরি এলাকার। গুলনাজ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বোন ও ভগ্নিপত ও তাঁদের ছেলের কথা শুনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভগ্নিপতি সফদর আলি তাঁকে বলেছিল, ঠিক করে তন্ত্রসাধনা করতে পারলে জীবনের সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে। সংসারে অভাব আর থাকবে না। তবে ঠিক মতে তন্ত্রসাধনা করতে হলে নরবলি দিতে হবে। তার কথা শুনে প্রথমে চার বছরের ছেলে আনোয়ারকে গলা টিপে খুন করে গুলনাজ। তার পর মৃত ছেলেকে ঘরেরই এক পাশে শুইয়ে রাখেন। এর পর সফদর তাঁকে বলে, যদি তাঁর স্বামী নৌসের অন্ত্র শরীর থেকে বের করে এনে রাখা যায়, তা হলে মৃত ছেলে আবার বেঁচে উঠবে। এর পরই তিনজন মিলে নৌসকে অজ্ঞান করেন। তার পর তাঁর পেট কেটে অন্ত্র বের করে আনে। গুলনাজের দুটি মেয়েও রয়েছে। তিনি তাদের এদিন অন্য জায়গায় রেখে এসেছিলেন।


আরও পড়ুন-  ধর্ষণের মিথ্যা মামলা! লাখপতি হয়ে 'বদলা' নিলেন এক ব্যক্তি, ফেরালেন নিজের সম্মান


বোন, ভগ্নিপতি ও তাদের ছেলে গভীর রাতে চলে যাওয়ার পর হুঁশ ফেরে গুলনাজের। ভগ্নিপতি বলে যায়, সকালের আগে তাঁর ছেলে ও স্বামী বেঁচে উঠবে। চোখের সামনে ছেলের মৃতদেহ ও যন্ত্রণায় কাতর স্বামীর মৃত্যু হওয়ায় আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। এর পর তিনি প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে সাহায্যের প্রার্থনা করেন। কিন্তু তার মুখ থেকে সব শুনে কেউ আর এগিয়ে আসার সাহস করেননি। পুলিস চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার বীভত্সতায় অবাক পুলিসও।