ধর্ষণের মিথ্যা মামলা! লাখপতি হয়ে 'বদলা' নিলেন এক ব্যক্তি, ফেরালেন নিজের সম্মান
কঠিন লড়াই জিতে নিজের সম্মান ফেরালেন তিনি। সেইসঙ্গে লাখপতি হয়ে বদলা নিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- সাত বছর ধরে তিনি এই দিনটারই অপেক্ষা করছিলেন। তবে গত সাত বছরে তাঁর জীবনে অনেক বদল হয়েছে। একেকটা দিন কেটেছে বিভীষিকার মতো। একে তো সম্মান নিয় টানাটানি। আর মাথার উপর ধর্ষণর মামলার খাঁড়া ঝোলায় তিনি চাকরি পাননি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা সত্ত্বেও তিনি বেকার হয়ে ঘুরেছেন দিনের পর দিন। তার উপর সমাজের বাঁকা দৃষ্টি! অভিযোগ প্রমাণের আগেইই তাঁকে অনেকে দোষী বলে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ন্যায় অর্জনের আশায় লড়েছেন দিনের পর দিন। কঠিন লড়াই জিতে নিজের সম্মান ফেরালেন তিনি। সেইসঙ্গে লাখপতি হয়ে বদলা নিলেন।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সন্তোষ। অনেক বছর আগেই সন্তোষ ও সেই মহিলার পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। তার ছিলেন প্রতিবেশি। ফলে সন্তোষের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিল সেই পরিবার। ফলে সেই মহিলার সঙ্গে সন্তোষের মেলামেশাও ছিল অবাধ। সন্তোষ তখন কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাত্ই মহিলার পরিবার চেন্নাইয়ের অন্য এক জায়গায় গিয়ে বসবাস করবে বলে ঠিক করে। তারা সেখানে চলে যাওয়ার পর জানতে পারেন, সেই মহিলা গর্ভবতী। এর পরই মহিলার পরিবার সন্তোষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। সেই মহিলারও দাবি ছিল একই। কিন্তু সন্তোষ বারবার বলে এসেছেন, তাঁর সঙ্গে সেই মহিলার কখনও শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! মামলা গড়ায় আদালতে।
আরও পড়ুন- বিয়ে ভাঙছে সাড়া ফেলে দেওয়া এই IAS কাপলের, বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে টিনা-আতহার
ডিএনএ টেস্ট হয় সেই মহিলার। জানা যায়, তিনি যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তার বাবা সন্তোষ নন। অন্য কেউ। এর পরই বিচারক সসম্মানে সন্তোষকে এই মামলা থেকে রেহাই দেয়। এমনকী সেই মহিলার পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সন্তোষকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ লাখ টাকা দেন। যদিও সন্তোষ ক্ষতিপূরণ হিসাবে দাবি করেছিলেন ৩০ লাখ টাকা। সেই মহিলা, তাঁর পরিবার ও তদন্তকারী অফিসারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন সন্তোষ। তিনি জানিয়েছিলেন, গত সাত বছরে তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই নষ্ট হয়েছে এই মামলার জন্য। সেই তুলনায় ৩০ লাখ ক্ষতিপূরণ কিছুই নয়। তবে আপাতত সম্মান ফিরে পাওয়ায় সন্তোষ খুশি।