`গণধর্ষণের অভিযোগ` দায়ের করে ৭ বছরের জেল মহিলার
নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তেরই ফাঁসির সাজা বহাল রেখে সমাজের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে সু্প্রিমকোর্ট। ঠিক একইসময়ে উল্লেখযোগ্য রায় রোহতক আদালতের। `গণধর্ষিতা` হয়েছেন তিনি! `অভিযোগ` দায়ের করেছিলেন থানায়। বিচারে সেই মহিলাকেই দেওয়া হল ৭ বছরের জেল। সঙ্গে ১০,০০০ টাকা জরিমানাও ধার্য করেছে আদালত। কিন্তু একইরকম দুটি অভিযোগে এমন ভিন্ন সিদ্ধাম্ত কেন আদালতের?
ওয়েব ডেস্ক : নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তেরই ফাঁসির সাজা বহাল রেখে সমাজের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে সু্প্রিমকোর্ট। ঠিক একইসময়ে উল্লেখযোগ্য রায় রোহতক আদালতের। 'গণধর্ষিতা' হয়েছেন তিনি! 'অভিযোগ' দায়ের করেছিলেন থানায়। বিচারে সেই মহিলাকেই দেওয়া হল ৭ বছরের জেল। সঙ্গে ১০,০০০ টাকা জরিমানাও ধার্য করেছে আদালত। কিন্তু একইরকম দুটি অভিযোগে এমন ভিন্ন সিদ্ধাম্ত কেন আদালতের?
কারণটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই মহিলার দায়ের করা অভিযোগের সম্পূর্ণটাঅই ভুয়ো। মিনাক্ষী নামে বছর আঠাশের ওই মহিলা ২০১০-এর জুনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রোহতকের এক বাসিন্দা ও তার দুই ভগ্নীপতি মিলে গাড়ির মধ্যে 'গণধর্ষণ' করেছে তাঁকে। তারপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এমনকী, বিয়ের পরও তাঁর স্বামী ও ভগ্নীপতিরা মিলে লাগাতার গণধর্ষণ করেছে তাঁকে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হয় বিচারপর্ব।১৭ জন সাক্ষীর শুনানি শোনে আদালত। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ না পেয়ে ২০১৫ সালে মুক্তি দেওয়া হয় সকল অভিযুক্তকেই। ভুয়ো অভিযোগ দায়েরের জন্য মিনাক্ষীর কাছে কৈফিয়ত তলব করে আদালত। যার উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। এরপরই ভুয়ো অভিযোগ ও ভুয়ো প্রমাণ দাখিলের অভিযোগে ওই মহিলাকে ৭ বছরের জেলের সাজা শোনায় আদালত।
আরও পড়ুন, 'বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ'; নির্ভয়া কাণ্ডে চার অভিযুক্তেরই ফাঁসির 'সুপ্রিম' রায়