নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন তালাকের কুপ্রথা রোধে সম্প্রতি কড়া আইন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইসলামে নারীদের সমানাধিকা দিতেই এই আইন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে তার পরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলেছে তিন তালাক দেওয়ার খবর। কেউ ফোনে তিন তালাক দিচ্ছেন তো কেউ এসএমএস-এ। তবে হরিয়ানার যমুনানগর থেকে তিন তালাকের যে খবর মিলেছে তা সবার থেকে আলাদা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাধারণত স্বামীর তিন তালাকের শিকার হন মুসলিম মহিলারা। ঘর সংসার ছেড়ে পথে নামতে হয় তাঁদের। কিন্তু হরিয়ানার যমুনানগরে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তালাকের স্বীকার খোদ স্বামীই। চিঠিতে ৩ তালাক লিখে ওই স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। 


স্বামীর দাবি, দিনমজুরি করেন তিনি। গত ১৫ জুলাই বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন স্ত্রী ঘরে নেই। পড়ে রয়েছে একটা চিঠি। তাতে লেখা 'তালাক, তালাক, তালাক'। ঘর থেকে গায়েব ৬০ হাজার টাকাও। ১০ বছর আগে ওই দম্পতির। তাদের ৫ সন্তানও হয়েছে। তার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


প্রধানমন্ত্রী হতে নয়, মতাদর্শের লড়াই লড়ছি, লন্ডনে দাবি রাহুলের


চিঠি নিয়ে স্থানীয় পুলিস সুপারের কাছে যান ওই ব্যক্তি। তালাকপ্রাপ্ত ওই স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী লেখাপড়া জানেন না। ফলে ওই চিঠি সম্ভবত অন্য কাউকে দিয়ে লিখিয়েছেন তিনি। 


স্ত্রীর স্বামীকে তিন তালাক দেওয়া নিয়ে অবশ্য ইসলামে নানা মুনির নানা মত। অনেকে একে শরিয়ত অনুসারে অবৈধ বলে দাবি করলেও অনেকে আবার তার সঙ্গে সহমত নন। তাদের দাবি, নিকাহর সময় যদি স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে থাকেন তবে সেই অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন স্ত্রী। সেক্ষেত্রে স্বামী নেশাগ্রস্ত হলে বা অন্য কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হলে স্বামীকে তালাক দিতে পারেন স্ত্রী।