ওয়েব ডেস্ক: অর্ধেক আকাশ নয়, চাই পূর্ণ আকাশ। দু চোখে স্বপ্ন। মনে অদম্য জেদ। লক্ষ্যে স্থির থেকে, এগিয়ে যাওয়া। সাফল্যের এক ও একমাত্র মন্ত্র। গুঞ্জন, সাক্ষীরা তাই তো করেছেন। আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নও আজ মাথা নুইয়েছে তাঁদের সামনে। গর্বে ভরে ওঠে বুক। সম্মানে ঝুঁকে যায় মাথা। এঁদেরই দেখে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডাকটা এসেছিল সেই কবে। ছোট্ট বেলায়। মেন ইন ইউনিফর্ম। দেখলেই মন কেমন করে উঠত।  শুধু পুরুষ কেন, মহিলারা কেন নয়? এ প্রশ্ন থেকেই জেদের জন্ম। জেদ, কিছু করে দেখানোর। মেয়েরাও সব পারে, প্রমাণের। সে লক্ষ্য, সেই স্বপ্ন আজ সফল।  


গুঞ্জন, সাক্ষী। দুজনেরই বাড়ি দিল্লিতে। এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা। আকাশ হাতের মুঠোয় ভরে নেওয়ার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই। উপকূল রক্ষী বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরও, আকাশের হাতছানি এড়াতে পারেনি দুজনই। একদিন এল, যখন গুঞ্জন-সাক্ষীরা হাতে পেয়ে গেলেন ওড়ার ছাড়পত্র। দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, জলসীমা রক্ষার দায়ভার। 


পদে পদে চ্যালেঞ্জ। বিপদের হাতছানি। তা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার গল্প। এনিয়েই গড়া এদের কেরিয়ার।  গোটা দেশে মাত্র ৮% মহিলা কাজ করেন উপকূলরক্ষী বাহিনীতে। সেখানে গুঞ্জন, সাক্ষীরা নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সবাইকেই। উদ্ধার অভিযান থেকে কমব্যাট অপারেশন। সবেতেই হাত পাকানো। গতবছর খুবই খারাপ আবহাওয়ায় বাংলাদেশে বিমান ল্যান্ড করান ডেপুটি কমান্ডান্ট গুঞ্জন। পরোয়া করেননি বিপদের। জীবন বাঁচাতে সফলও হন। এগিয়ে চলেছেন গুঞ্জন-সাক্ষীরা। তাঁদের দেখে দেশ গর্বিত। তাঁদেরই জন্য সম্মানিত। তাঁরাই অনুপ্রেরণা। না জানে কত কত জনের!