ওয়েব ডেস্ক: তিন নাবালক সন্তানকে ছুঁড়ে পাতকুয়োয় ফেললেন মা প্রিয়াঙ্কা বালাজি ওয়াংখেড়ে, আর তারপর নিজেও আত্মহননের পথ বেছে নিলেন ওই কুয়োতেই ঝাঁপ দিয়ে। ঘটনাটি গত সোমবার, মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়ারা অঞ্চলে ঘটেছে বলে স্থানীয় পুলিশের তরফে বুধবার জানা গেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দু'ই পুত্র - প্রতীক (৩ বছর) ও কপিল (৫ বছর) এবং একমাত্র কন্যা সাক্ষি (৭ বছর)-কে হত্যা করার পর প্রিয়াঙ্কার নিজেরও কুয়োয় ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় উঠে আসছে পণ প্রথার অভিযোগ।


এক পুলিশ অফিসারের কথায়," প্রিয়াঙ্কার ভাই পুলিশকে বলেছে যে মৃতার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি করতেন তাঁর বাপের বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা পণ নিয়ে আসার জন্য"। ফলে এর থেকেই আঁচ পাওয়া যায় যে ঠিক কি ঘটে থাকতে পারে।


পুলিশ সুত্রে জানা গেছে যে প্রিয়াঙ্কার স্বামী বালাজি ওয়াংখেড়ে, শ্বশুর গণপত ওয়াংখেড়ে এবং শাশুড়ি লীলাবতী ওয়াংখেড়ে এই মুহুর্তে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধীর ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) ও ৪৯৮ (বধূ নির্যাতন) ধারায় মামলা চলছে।


গতকাল, মঙ্গলবার তিন সন্তানসহ প্রিয়াঙ্কার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।