আয়াপ্পা দর্শনে অনড় ১১ জন মহিলা, ‘ভক্তরা’ বাধা দেওয়ায় তুলকালাম সবরীমালায়
সবরীমালায় ঢুকতে দেওয়া হবে না মহিলা পুণার্থীদের। এই ইস্যু নিয়ে গতকাল রাত থেকেই চড়তে শুরু করে উত্তেজনা। সবরীমালার পাদদেশে পাম্বাতেই আটকে দেওয়া হয় ওই মহিলাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সবরীমালায় টানটান উত্তেজনা। আয়াপ্পার মন্দির দর্শনে অনড় ১১ জন মহিলা। পেম্বার বেস ক্যাম্পে পৌঁছতেই গণ্ডগোলের শুরু। তখনই রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখান ভক্তরা। দু’পক্ষ মুখোমুখি হতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে পুলিস।
রাস্তাতেই চলে মন্ত্রোচ্চারণ। মন্দির দর্শনের জন্য শনিবার রাত দশটা নাগাদ ৫০ সদস্যের মহিলা দলটি পৌঁছয় কোট্টায়াম স্টেশনে। ওই দলে কেরল ছাড়াও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশার মহিলারা ছিলেন। নিজেরা নিরাপত্তার আর্জি না জানালেও, অশান্তি এড়াতে পুলিস শুরু থেকেই দলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন- ‘নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে বিরোধীদের মহাজোট’ কটাক্ষ মোদীর
সবরীমালায় ঢুকতে দেওয়া হবে না মহিলা পুণার্থীদের। এই ইস্যু নিয়ে গতকাল রাত থেকেই চড়তে শুরু করে উত্তেজনা। সবরীমালার পাদদেশে পাম্বাতেই আটকে দেওয়া হয় ওই মহিলাদের। তাদের গাড়ি ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে যায় পুলিস। কিন্তু পাহাড়ের কাছে পৌছতেই শুরু হয় নয়া নাটক।
আরও পড়ুন- সিমলায় ঘুরতে গিয়ে ‘তোপের মুখে’ রাহুল-প্রিয়ঙ্কা, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর
ওই মহিদের পথ আটকে রাস্তাতেই শুয়ে পড়েন শখানেক পুণ্যার্থী। অভিযোগ, মহিলাদের খাবার বা পানীয় জলটুকুও দেওয়া হয়নি। পুলিস পৌছলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। রাস্তা আটকে রাখা পুণ্যার্থীদের কার্যত হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিস। পাম্বা এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপিও। এই অবস্থায় অশান্তি রুখতে কার্যত কড়া হতে হয় পুলিসকে। মহিলা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাদের থানায় নিয়ে যায় পুলিস। পম্পায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।