নিজস্ব প্রতিবেদন: একাশো শতাংশ ভোট হওয়টাই নজিরবিহীন। গতকাল শেষ দফার ভোটগ্রহণে হিমাচল প্রদেশের একটি গ্রামে ভোট পড়ল ১৪৩ শতাংশ। অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন নিশ্চয়ই কারচুপি হয়েছে। বুথ জ্যাম, ইভিএম কারচুপি না হলে ভোটারের থেকে ভোট শতাংশ বেশি হয়! ইভিএম-এর যান্ত্রিক ত্রুটিও থাকতে পারে। তাই, পুনর্নিবাচন করার দাবিও তুলতে পারেন। কিন্তু এত কিছু ভাবার আগে জেনে নিন, ওই গ্রামের প্রত্যেকটি ভোটই বৈধ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তা হলে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গ্রামটির নাম তাশিগঙ্গ। ভারত-তিব্বতের সীমানা ঘেঁষা প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড় ঘেরা গ্রাম। বরফের চাদরে মোড়া নিসর্গ শোভা। ওই গ্রামে ভোটার মাত্র ৭০ জন। সকাল ৭টা নাগাদ শুরু হয় ভোটগ্রহণ। প্রায় শূন্য ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায় ভোটপর্ব চলে। ৪৯ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং ১৫ জন মহিলা। ভোটের হার ৭৪ শতাংশ। তা হলে কীভাবে ১৪৩ শতাংশ ভোট পড়ল?


তাশিগঙ্গের বুথটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্র বলে পরিচিত। তাই, ওই কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা অনেকেরই রয়েছে। তাশিগঙ্গ-সহ অন্যান্য এলাকায় কর্মরত নির্বাচন কর্মীরা আবদার করেন ওই বুথে ভোট দেওয়ার জন্য। ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট ইস্যু করে তাঁদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন- রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তায় গ্যাংওয়ার, গুলিতে খুন ২


সিপতি উপত্যকার তাশিগঙ্গের কাছে সবচেয়ে ছোটো বুথ ‘কা’-য়ের মোট ভোটার সংখ্যা ১৬। এর মধ্যে ১৩ জন ভোটপ্রদান করেন। তাশিগঙ্গ এবং কা এই দুটি বুথ পড়ে মান্ডি লোকসভার কেন্দ্রের মধ্যে। মান্ডি কেন্দ্রে কুল্লু, মানালি-সহ ১৭টি বিধানসভা রয়েছে। এই কেন্দ্রটি এই মুহূর্তে বিজেপির দখলে। মূলত কংগ্রেস এবং বিজেপির লড়াই এই কেন্দ্রে। বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী রাম স্বরূপ শর্মার বিরুদ্ধে লড়ছেন কংগ্রেসের আশ্রয় শর্মা।