জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৈচিত্রে ভরা এই দেশ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চমকে দেওয়া মতো বৈচিত্র। তারই একটি শ্রীনগরের ভাসমান পোস্ট অফিস। পাহাড় ঘেরা ডাল লেকে এই পোস্ট অফিসটি হল দুনিয়ার একমাত্র ভাসমান পোস্ট অফিস। বিশাল একটি হাউসবোটে চলছে এই পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিসের ব্যবহার এখন অনেক কমলেও অন্যান্য আর পাঁচটা পোস্ট অফিসের মতো এখনও কাজ হয় নিয়মিত। পর্যটকরা এমন এক আশ্চর্য পোস্ট অফিস দেখতে ভিড় করেন ডাল লেকে। কেউ কেউ এখন থেকেই চিঠি পোস্ট করেন কাশ্মীর ভ্রমণের স্মৃতি অমলিন করে রাখতে। ব্রিটিশ আমলে চালু হয়েছিল এই পোস্ট অফিসটি। সবেমিলিয়ে এই পোস্ট অফিসের বয়স এখন ২০০ বছর। এই পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান চিঠিচাপাটি পোস্ট করেন শিকারা চড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আরোগ্য সেতু অ্যাপ অচল, উধাও বিপুল পরিমাণ তথ্য! আপনি নিরাপদ তো?


এই পোস্ট অফিসের যে সিলমোহর তাতেও রয়েছে বিশেষত্ব। পোস্ট অফিসের নামধাম, তারিখের সঙ্গে স্টাম্পে দেওয়া হয় একটি শিকারার ছবি। শিকারা চড়ে চিঠি পৌঁছে দিতে অনেকটাই সময় লাগে পোস্ট ম্য়ানের। তারপরেও এই কাজকে উপভোগ করেন ভাসমান বোটের এই পোস্টম্যান। পোস্ট অফিসটিতে রয়েছে ছোট ছোট দুটি ঘর। একটি হল অফিস ঘর। অন্যটি টিকিটের মিউজিয়াম। রাজ্যের পোস্ট অফিসের কার্যকালের গোটা ইতিহাস ধরার চেষ্টা হয়েছে এই সংরক্ষণশালায়।



ভাসমান এই পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার ফারুক আহমদ জি নিউজকে বলেন, মহারাজা বা ব্রিটিশ শাসনের আগে তৈরি হয় এই পোস্ট অফিস। বয়স ২০০ বছরের বেশি। উপত্যকায় যখন পর্যটকদের ঢল নামে তখন আমাদের কথা বলার সময় থাকে না। হাজার হাজার মানুষ এসে এখানে ছবি তোলেন। চিঠি পোস্ট করেন। অনেকে এখান থেকে বিশেষ ধরনের পোস্টকার্ড, টিকিট কেনেন। চিঠি পৌঁছে দেওয়ার জন্য পোস্টম্য়ান এখানে শিকারার ব্যবহার করেন।  


ইন্টারনেট আসার পর পোস্টাল সিস্টেম এক জোরাল ধাক্কা খেয়েছে। কাগজে পেন দিয়ে লেখার ব্যাপারে এখন অনীহা মানুষজনের। তার বদলে খুব সহজেই একটি মেসেজ করে কাজ সেরে ফেলছে। এর পাশাপাশি রয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়া। সেখান থেকেও পরিচিতদের সম্পর্কে বহু খবরাখবর পেয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তার পরেও টিকে রয়েছে এই পোস্ট অফিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)