জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: তাজমহলের চারিদিকে জল থৈ থৈ করছে। ৪৫ বছরে এমন দৃশ্য প্রথমবার দেখছে দেশ। লাগাতার বৃষ্টির ধরে জেরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জলমগ্ন রাজধানী। আগেই ডুবেছিল লালকেল্লা সংলগ্ন কাশ্মিরী গেট এলাকা, রিং রোড। এবার জলমগ্ন তাজমহল চত্বর। এর আগে ১৯৭৮ সালে যমুনা নদীর জল ঢুকে পড়েছিল তাজমহলের আশেপাশে। প্রশাসনের আশঙ্কা, রামবাগ, মেহতাব বাগ, জোহরা বাগ, চিনা কা রৌজার মতো স্মৃতিস্তম্ভও জলমগ্ন হতে পারে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Modi on Oppostion: 'বাম-কংগ্রেস কর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, তাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছেন বিরোধী নেতারা, মোদীর মুখে বাংলার ভোট অশান্তি


তাজমহলের কাছে রয়েছে তাজগঞ্জ শ্মশান ৷ সেখানেও পৌঁছেছে জল ৷ ফলে শবদেহের শেষকৃত্য় করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ এমনকী তাজমহলের সামনের কৈলাস ঘাট-সহ ২৮ টিরও বেশি এলাকা যমুনা নদীর জল বৃদ্ধির কারণে ডুবে গিয়েছে ৷ আগেই আগ্রা, মথুরার নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকার ৫০টি গ্রাম এবং ২০টি এলাকা থেকে পাঁচশোরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে কৃষিজমি। 


যমুনা নদীর জল এতটাই ফুঁসে উঠেছে, তাজমহলের পিছনদিকের বাগান সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে। সাধারণত ৪৯৫ ফুট থাকে যমুনার জল। কিন্তু, তা বেড়ে ৪৯৭.৯ ফুট পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায়, তাজমহল চত্বর জলমগ্ন। তবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই তরফে জানান হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওই স্মৃতিস্তম্ভগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি। তাজমহলের বেসমেন্টেও জল ঢোকেনি৷ 


আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের আরও দাবি, তাজমহলের নকশা নাকি এমন ভাবেই তৈরি, যাতে পৃথিবী-বিখ্যাত এই সৌধের ভিতরে জল প্রবেশ করার কথা নয়। ১৯৭৮ সালে ভার বন্যাতেও তাজমহলের পিঠনের দেওয়াল পর্যন্ত জলস্তর উঠে গিয়েছিল। তারপর জলস্তর নেমে যাওয়ায় পিছনের দিকে একটি বড় ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছিল। সেখানেই পরবর্তীকালে বাগান তৈরি করা হয়।



আরও পড়ুন, NDA Meet, Opposition Meet: বেঙ্গালুরুর পালটা দিল্লি! চাপে পড়ে এনডিএ বৈঠকের ডাক নাড্ডার, চিঠি জিএনএলএফ-কেও


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)